টানা ছ’দিন ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্ধান চলছিল বাঘের। সেই বাঘ ধরা পড়ল মঙ্গলবার সকালে। শেখ পাড়ার জঙ্গলে বুধবার সকাল থেকে ২০০ মিটার ঘেরা দেওয়া যায় আটকে পড়ে বাঘটি। তার পরেই ঘুমপাড়ানি গুলি। ঘুমপাড়ানি গুলির ঘায়ে কাবু বাঘটিকে আপাতত বাগে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। বাঘ দেখতে এলাকায় ভিড় করে স্থানীয়রা।
ডোঙাজোড়া জঙ্গলেই পাঁচদিন ধরে গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে বুধবার ধরা পড়ল সেই বাঘ। কোনভাবেই বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ছিল না বাঘটি। শেষে বন দফতরের তরফ থেকে ডাকা হয় দমকলকে। সোমবার রাতে জলকামান দেওয়া হয়, জলের তোড়ে যাতে বাঘ নির্দিষ্ট দিকে চলে আসে, তার প্রক্রিয়া শুরু করে বন দফতর। সেই তাড়ায় বাঘ বেরিয়ে এলে ঘুমপাড়ানি গুলি মারতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। কিন্তু তাতেও আতঙ্ক কমেনি। খাঁচার পাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থেকেও একাধিক বার শোনা যায় বাঘের গর্জন। এর পর বাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, এই শেষ কয়েকদিন আমাদের খুব ভয়ে কেটেছে। আমাদের প্রচেষ্টা ছিল যে বাঘটিকে আমরা ধরব। শেষ পর্যন্ত বনদফতর সাফল্য পেয়েছে। আমি বনদফতর এবং গ্রামবাসীদেরকেও ধন্যবাদ।”
বাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করার পরই, ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন পশু চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, শেষ চার দিন ঠিক করে খেতে পারেননি এই বাঘ, তার উপর ঘুমপাড়ানি গুলি, ফলে বাঘের শারীরিক অবস্থার দিকেও খেয়াল রাখছেন চিকিৎসকরা।
বাঘকে ঘুমপাড়ানি গুলি করার পর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করা হয়। তার পর বাঘের আশেপাশে পটকা ফাটানো হয়। দেখা হয় বাঘটি সম্পূর্ণ অজ্ঞান হয়েছে কি না। তার পরেই বাঘের কাছে যাওয়া হয়। সাড়ে নটা থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর এখন শেষ পর্যন্ত বাঘটিকে উদ্ধার করার শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে কুলতলির জঙ্গলে।