রাজ্যের ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ রবিবারই কফিনবন্দি অবস্থায় ফিরল গ্রামে। গ্রামের ছেলের কফিনবন্দি দেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য ছুটে এলেন অগনিত মানুষ।
রাজ্যের ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করার সময় ধ্বসে মৃত্যু হয় কেরালায়। গ্রামে সে খবর পৌঁছতেই বিষন্ন – থমথমে ছিল গোটা গ্রাম। এরপর থেকেই গ্রামের মানুষ দিনগুনছিলেন, কখন মৃতদেহগুলি পরিবারের লোকের কাছে ফেরত আসবে। সেই মতো রাজ্য সরকার ও কেরল সরকারের সহযোগিতায় রবিবার দমদম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় মৃতদেহগুলি। সেখান থেকেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর শ্রীকৃষ্ণপুর আশুদি গ্রামে মৃতদেহ নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা।
এদিন মৃতদেহগুলি বাড়ি ফিরতেই শেষবারের মতো গ্রামের ছেলেদের একবারকে দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন গ্রাম ও গ্রামের আশেপাশের লোকজন। তাঁদের সকলেরই সরকারের কাছে আবেদন, মৃতদের পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা করুক রাজ্য সরকার। রাজ্যে কাজের অভাবে ভিন রাজ্যে গিয়েছিল তারা। কাজের উদ্দেশ্যে সেখানেই এভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি আত্মীয়-পরিজনরা।
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ও হরিণঘাটার বেশ কিছু শ্রমিক কোচির কালামাসেরিতে একটি নির্মাণ সংস্থার কাজের জন্য পাড়ি দেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ শ্রমিকই এই প্রথম বাংলার বাইরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি নির্মীয়মান বাড়িতে কাজ করার সময় ভূমি ধ্বস নামে। আর তাতেই কর্মরত অশোকনগরের ৩ শ্রমিক ও হরিণঘাটার ১ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে শোকের ছায়া নেমে আসে অশোকনগর এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মৃত চার শ্রমিকের নাম, ফিজুল মন্ডল, নওজেশ আলি, নূর আমিন মন্ডল ও কুদ্দুস মণ্ডল। শুক্রবার সেখানে কর্মরত অবস্থায় মাটির ধ্বস নামার কারণে মৃত্যু হয় চারজনেরই। আহত হয় আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।