ইউরো কাপের গ্রুপ এ থেকে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই শেষ ষোলোয় পৌঁছে গিয়েছিল ইতালি। এই গ্রুপে ওয়েলস ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে যে কোনও একটি দলের দ্বিতীয় হয়ে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল। এরজন্য ওয়েলসের ড্র করলেই হতো, আর সুইজারল্যান্ডের জেতার পাশাপাশি গোল পার্থক্য বেশি রাখতে হতো। তুরস্ক দুটি ম্যাচ হেরে আগেই বিদায় নিয়েছে ইউরো থেকে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতে চারটি দলই খেলতে নামে। অশ্বমেধ ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা ইতালির মুখোমুখি হয়েছিল গ্যারেথ বেলের ওয়েলস।
এদিনের ম্যাচে কার্যত দ্বিতীয় দল মাঠে নামায় ইতালির কোচ মানচিনি। প্রথম দলে আটটি পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। তবুও থামানো গেল না বদলে যাওয়া ইটালিকে। রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ওয়েলসকে তারা ১-০ গোলে হারাল। ইতালির জয়সূচক গোলটি আসে প্রথমার্ধের ৩৯ মিনিটে। ফ্রি কিক থেকে ওয়েলসের বক্সে নিচু বল ফেলেন ভেরাত্তি। দৌড়ে এসে সেই বলে পা লাগিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে ওয়েলসের জালে বল ঢুকিয়ে দেন পেসিনা। যদিও ম্যাচ হেরেও গোল পার্থক্যে শেষ ষোলোয় চলে গেল ওয়েলস।
এদিনের অপর ম্যাচে তুরস্ককে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল সুইজারল্যান্ড। তবুও গোল পার্থক্যে তিন নম্বরে থামতে হল সাকিরিদের। এদিন প্রথমার্ধের ৬ ও ২৬ মিনিটে যথাক্রমে হ্যারিস সেফেরোভিচ ও জারদান শাকিরির গোলে ২-০-য় এগিয়ে যায় সুইৎজারল্যান্ড। কিন্তু তাঁদের সব আশায় জল ঢেলে তুরস্ক একটি গোল শোধ করে। পরে সাকিরি আরও একটি গোল করলেও সুইজারল্যান্ডের পক্ষে সরাসরি শেষ ষোলোয় যাওয়া সম্ভব হয়নি।
You must be logged in to post a comment.