চলতি ইউরোয় ‘গ্রুপ অফ ডেথ’ হল গ্রুপ-এফ। গ্রুপের চারটি দল হল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, ইউরো নেশনস কাপ জয়ী পর্তুগাল, শক্তিশালী জার্মানি এবং হাঙ্গেরি। ফলে এই গ্রুপ থেকে কারা কারা শেষ ষোলোয় যায় সেটা নিয়ে বিস্তর জল্পনা ও অঙ্ক চলছিল ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। বুধবার রাতে চারটি দেশের দুটি নির্ণায়ক ম্যাচ ছিল। একদিকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল রোনাল্ডোর পর্তুগাল। অপর ম্যাচে হাঙ্গেরির মুখোমুখি হয়েছিল জার্মানি। দুটি ম্যাচই ছিল উত্তেজক এবং নির্ণায়ক। তবে দুটি ম্যাচই শেষ হল ২-২ গোলে। ফলে গ্রুপ শীর্ষে থাকল ফ্রান্স, দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে গেল জার্মানি। আর তৃতীয় দল হিসেবে আশা থাকল পর্তুগালের।
মোট ছ’টি গ্রুপের থেকে চারটি তৃতীয় স্থানাধিকারী দল নকআউটে জায়গা করে নিল। পর্তুগাল তাদের মধ্যে অন্যতম। শেষ ষোলোয় পর্তুগালের সামনে এবার বেলজিয়াম। বুধবার রাতে উত্তেজক ম্যাচে ফ্রান্সকে আটকে দিয়ে সেই সুযোগ পেলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশ। বিতর্কিত পেনাল্টিতে প্রথমে গোল করেন তিনিই। রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। এবারের ইউরোয় চার নম্বর গোল করতে ভুল করেনি সিআর সেভেন। এরপর ফ্রান্স দুই গোল দেয়, দুটি গোলই করেন করিম বেঞ্জিমা। প্রথমটি পেনাল্টি থেকে এবং পরেরটি লম্বা পাস থেকে ঠান্ডা মাথার প্লেসিংয়ে। ২-১ গোলে পিছিয়ে চাপে পড়ে যায় পর্তুগাল। কিন্তু রোনাল্ডোর বুদ্ধিদীপ্ত খেলায় ফের পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। পাঁচ নম্বর গোল করেন তিনি। ইরানের আলি দায়ি ১০৯টি আন্তর্জাতিক গোল করে এতদিন সবার উপরে ছিলেন। পর্তুগিজ মহানায়ক তাঁকে ছুঁয়ে ফেললেন এদিন। ম্যাচ এখানেই শেষ হয় ২-২ স্কোরে। ফলে তৃতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে গেল পর্তুগাল।
অপর ম্যাচও কম উত্তেজক ছিল না। দীর্ঘক্ষণ পিছিয়ে ছিল জার্মানি। তবে দুর্দান্ত লড়াই করেও জার্মানদের হারাতে পারল না হাঙ্গেরি। ম্যাচের ১১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করেই হাঙ্গেরিকে প্রথমে এগিয়ে দেন অ্যাডাম সেলয়। কিন্তু ৬৬ মিনিটে গোলকিপারের ভুলে গোল হজম করতে হল হাঙ্গেরিকে। এরপর মরিয়া হয়ে আক্রমণে উঠে ফের গোল পায় তাঁরা। এবারে গোল করেন সাফার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, গোরেটজকার দুর্দান্ত গোলে ফের সমতা ফেরায় জার্মানদের।
You must be logged in to post a comment.