নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে রবিবার ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করল থ্রি লায়ন্সরা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন। বুধবার রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডাচদের ২-১ গোলে হারায় ইংলিশরা। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। গতবার ওয়েম্বলি ফাইনালে হ্যারি কেনরা হেরে যান ইতালির কাছে। সেই কষ্ট ভুলে দেশকে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান মুকুট এনে দেয়ার আরেকটি সুযোগ এসেছে। ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয় করা থ্রি লায়ন্সরা এরপর আর বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেনি। এবার কি বার্লিনে ফিরবে ছেষট্টির স্মৃতি?
বুধবার ডাচদের সঙ্গে দারুণ প্রত্যাবর্তনে জিতেছে ইংল্যান্ড। ডর্টমুন্ড সেমিফাইনালে ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার জাভি সিমন্সের বজ্রাঘাতের মতোই এক শক্তিশালী শটে বল ইংল্যান্ডের জালে জড়িয়ে যায়। যদিও ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় লাগেনি। ১৮ মিনিটে অধিনায়ক হ্যারি কেন পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা আনেন।
অবশেষে ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ওলি ওয়াটকিনসের গোলে জয় নিশ্চিত করে ইংলিশরা। ৮১ মিনিটে নেমেছিলেন কেনের বদলি হিসেবে। তিনিই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিলেন। কোল পালমারের অবিশ্বাস্য এক পাস থেকে গোল করে তিনি ব্যবধান ২-১ করে দেন।
এই প্রথম দেশের বাইরে বড় ফুটবল আসরের ফাইনালে উঠেছে ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত জয়ের মুকুট আসে কিনা এখন সেটাই দেখার।