ব্যাঙ্ক প্রতারণায় অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি ও নীরব মোদীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই টাকা ব্যাঙ্কে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই তিনজনের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ক্ষতির পরিমাণ ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। বুধবার তিনজনের মোট ৯ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা জমা পড়ল ব্যাঙ্কে। যার মাধ্যমে আংশিক ক্ষতিপূরণ হবে ব্যাঙ্কগুলির।
জানা গিয়েছে, এই পরিমাণ টাকা, মোট যে টাকা প্রতারণা করেছে তার ৮০ শতাংশ। একাধিক খাতে ভুয়ো মালিকের নাম দিয়ে সম্পত্তি রেখেছিল তিন জন। যাতে সম্পত্তি নাগালে না পাওয়া যায়। এমন কিছু ভুয়ো কোম্পানি রয়েছে, যার মালিকানার পরিচয়ে রয়েছে অন্য কোনও নাম। আসলে সেই কোম্পানিগুলির পিছনে ছিল বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি এবং নীরব মোদী। দেশে–বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় সেই সমস্ত সম্পত্তি রয়েছে।
বুধবার ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেবল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তই নয়, সেই সঙ্গে শেয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ৯ হাজার ৩৭১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা এবার ফিরিয়ে দেওয়া হল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিজয় মালিয়া রয়েছেন ব্রিটেনে। তাঁকে ভারতের হাতে প্রত্যপর্ণ করার দাবি জানিয়েছে সরকার। তবে এখনও সেই আরজিতে সবুজ সংকেত না মেলায় ফেরানো যায়নি।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে পালিয়ে ছিলেন নীরব মোদী ও মেহুল চোকসি। একাধিক ব্যাঙ্কে ঋণ করে সেই টাকা নিয়ে ইংল্যান্ডে চলে গিয়েছেন বিজয় মালিয়া। জালিয়াতির পান্ডা নীরব মোদীর মামা মেহুল চোকসির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ফেরার মেহুল চোকসি ও নীরব মোদীর ঘনিষ্ঠ মিহির বনসালি ও এপি জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি মিলিয়ে মোট ২১৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
অ্যান্টিগুয়া থেকে কিউবায় পালানোর পথে ডোমিনিকায় ধরা পড়েছেন চোকসি। তারপর থেকে সেখানেই বন্দি রয়েছেন তিনি। তাঁকে দেশে ফেরানোর প্রাথমিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও আশা ছাড়েননি ভারতীয় গোয়েন্দারা। নীরব মোদী ইংল্যান্ডের শ্রীঘরে রয়েছে। ১০০ শতাংশ ঋণ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা অর্থমন্ত্রককে জানিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। ২ মার্চ ২০১৬ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মালিক।
