বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সামনে আসে কয়লা–দুর্নীতি। তদন্ত এগোলে উঠে আসে একের পর এক প্রভাবশালীর নাম। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে অভিযুক্তদের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ক্রমশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটকদের নামও উঠে আসে এই মামলায়। এবার সেই কেলেঙ্কারির তদন্তে আরও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার সকালে আচমকা শহরের দুটি জায়গায় হানা দিলেন সংস্থার আধিকারিকরা।
আজ ইডির তিনটি দল শহরে তল্লাশি চালাচ্ছে। মল্লিক বাজার ও ডালহৌসির ওই দুই সংস্থার অফিসে গিয়েছেন আধিকারিকেরা। ওই দলে নয়াদিল্লি থেকে আসা অফিসারেরাও রয়েছেন বলে খবর। অফিসে হানা দিয়ে ইতিমধ্যেই কর্মীদের বেরতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি স্টিল কোম্পানির অফিস ও অন্যটি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এইসব কর্মীদের আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। সংস্থার ডিরেক্টরদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এই কয়লা-কাণ্ডে ডাক পড়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারই মধ্যে তলব করা হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে খবর। তাঁকে রাজধানীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এই সংক্রান্ত কোনও নোটিস পাননি।
অভিষেকের স্ত্রী রুজিরার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ১ সেপ্টেম্বর। যদিও তিনি করোনার কারণে এই হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে দেওয়া একটি চিঠিতে রুজিরা জানিয়েছেন, তাঁর দুই ছোট সন্তান রয়েছে। করোনা সংক্রমণের মাঝে শারীরিকভাবে একা একা দিল্লি যাওয়া তাঁকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। তাই রুজিরার আবেদন, তাঁকে যেন তাঁর কলকাতার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি হাজিরা দিতে যাবেন কি না সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। আগামী ৮, ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছে আইপিএস সেলভা মুরুগান, জ্ঞানবন্ত সিং ও শ্যাম সিংহকে। জুলাইয়ের শেষ আর অগস্ট মাসের শুরুতে মোট আইপিএসকে ডেকেছিল ইডি।
You must be logged in to post a comment.