এবার সরকারি চাকরিতে অনিশ্চয়তার ঘন মেঘ। মুখে করোনার জেরে লকডাউনে কাউকে ছাঁটাই করবেন না বলে অনুরোধ করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সরকারি কর্মচারীর বহর আরও কমাতে সমস্ত অফিসে আগাম অবসর চালু করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী ৫০ কিংবা ৫৫ বছর অতিক্রম করেছেন এমন কর্মচারীদের মধ্যে যাঁরা ৩০ বছর বা তার বেশি সময় চাকরিতে আছেন তিন মাসের নোটিসে তাঁদের চাকরি থেকে বসিয়ে দিতে পারে সরকার। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে থাকা কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দপ্তর (ডিওপিটি)।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জনস্বার্থে যে কোনও কর্মচারীকে অবসরের নির্ধারিত বয়সের আগেই চাকরি থেকে বসিয়ে দিতে পারে সরকার। ফলে এই আইন অপব্যবহার হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে এখন অবসরের বয়স ৬০। ৫০ কিংবা ৫৫ বছরের বেশি বয়সের যে কর্মচারীরা ৩০ বছর চাকরি করেছেন, আগাম অবসর প্রকল্পের জন্য আপাতত দ্রুত তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে ফেলতে বলা হয়েছে সমস্ত দপ্তরকে।
এক্ষেত্রে নতুন কোনও আইন বা বিধি প্রণয়ন না করে হাতিয়ার করা হয়েছে ১৯৭২ সালের পেনশন সংক্রান্ত একটি বিধি। সেখানেই বলা হয়েছে, জনস্বার্থে চাকরির মেয়াদ শেষের আগেই কোনও কর্মী–অফিসারকে সরকার বসিয়ে দিতে পারে। সার্কুলারের প্রতিটি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি জনস্বার্থে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সর্বভারতীয় একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনার্দন মজুমদার বলেন, ‘এই সার্কুলারটি কর্মচারীদের জন্য ভয়ঙ্কর বার্তা। এই সার্কুলারকে হাতিয়ার করে সরকার অপছন্দের কর্মী–অফিসারদের চাকরি খাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করে নিল।’ উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ওই বিধি অতীতে কোনও সরকার প্রয়োগ করেনি।