খেলাধুলা ব্রেকিং নিউজ

কোপা আমেরিকায় বিদায় ব্রাজিলের, সেমিফাইনালে উরুগুয়ে

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল। দুই বছর পর সেই একই ঘটনা যেন ফিরে এল নতুন করে। এবার কোপা আমেরিকার শেষ আটেও টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হলো ব্রাজিলকে।

উরুগুয়ের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য সমতা থাকার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। বিশ্বকাপের মতো এবারও পেনাল্টি শুটআউটে ব্রাজিল হারল ৪–২ গোলে। উরুগুয়ে এবার সেমিফাইনালে নামবে ১১ জুলাই ভোর ৫.৩০ মিনিটে। প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। ২০১১ সালের পর সেমিফাইনালে পৌঁছল উরুগুয়ে। কিন্তু শিরোপা জিততে এসে কেন ব্রাজিলের এমন ভরাডুবি?

মনে করা হচ্ছে, জুনিয়রই ছিলেন ব্রাজিলের অন্যতম ভরসা। কিন্তু সেই ভিনিসিয়ুসই গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে কার্ড দেখে কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য নিষেধাজ্ঞায় পড়েন। তাঁর না থাকা ব্রাজিলকে বেশ ভুগিয়েছে। চাপের মুখে দারুণ কিছু করে ম্যাচ বের করে আনার সামর্থ আছে তাঁর।

বিশেষ করে সেরা ছন্দের ভিনিসিয়ুস বিশ্বের যেকোনো প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারেন। গ্রুপ পর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে সেরা ছন্দে থাকা ভিনিসিয়ুস একাই ম্যাচ বের করে এনেছিলেন। কিন্তু দর্শকদের সারিতে বসে এদিন দলকে প্রায় পুরোটা সময় ভুগতে দেখেছেন ভিনি।

যদিও ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রাজিলের বিপক্ষে শুরু থেকে শরীর নির্ভর ফুটবল খেলেছে উরুগুয়ে। নিজেদের খেলাটা খেলার চেয়ে যেন ব্রাজিলের খেলা নষ্ট করাতেই বেশি মনোযোগী ছিল তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে ব্রাজিলের জন্য স্বাভাবিক ফুটবল খেলাটা রীতিমতো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে যেকোনো কঠিন অবস্থা থেকে ম্যাচ বের করে আনাই তো বড় দলগুলোর কাজ।

তাই, তেমন কিছু করতে ব্রাজিলের প্রয়োজন ছিল একক নৈপুণ্যের প্রদর্শনী। সে জন্য যেকোনো একজন খেলোয়াড়ের এগিয়ে এসে দারুণ কিছু করতে হতো। দারুণ কিছু আক্রমণ, অসধারণ ক্রস কিংবা ফ্রি–কিকে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগালে এই ম্যাচের চিত্র বদলে যেতে পারত। কিন্তু রদ্রিগো, রাফিনিয়া কিংবা এনদ্রিকরা তেমন কিছু করতে পারেননি। এদিন ব্রাজিলের সাম্বা ম্যাজিক যেন ভ্যানিশ! বিশ্বজুড়ে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু তাঁদের নিরাশ করে এবারের কোপা থেকে খালি হাতেই বিদায় নিল সেলেকাওরা।