জেলা

গজরাজদের তাণ্ডবে আতঙ্ক উত্তরে

গজরাজ তো লকডাউন বোঝে না। তাই লকডাউনে মাঝরাতে দাপিয়ে বেড়ালো তিন বুনো হাতি। রাত তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি শহরের রাজারামমোহন রায় রোডে। ঘটনাস্থল থেকে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটের দূরত্ব মাত্র দেড় কিলোমিটার। সেখানে ঢুকে গেলে পরিণতি কী হতে পারত অনুমান করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পুলিশ এবং বনকর্মীরা। তাঁদের চেষ্টায় বুনো হাতির দলটি ভোরের দিকে শেষমেষ জঙ্গলে ফিরে যায়। আসলে তারাও খাবার খেতেই ওখানে এসেছিল। ক্ষিদে কি আর সহ্য করা যায়!‌
তাই ফেরার আগে হাতির পাল কোথাও বাগানে ঢুকে কলাগাছ খেয়ে নেয়। কোথাও বাঁশের বেড়া ভেঙে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে। চালের খোঁজে বেশ কয়েকটি দোকানের সাটার ধরে টানাটানি করে। তবে বড় মাপের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। হাতির দলের হামলায় ওই এলাকার অনেক বাসিন্দারই ঘুম ভেঙে যায়। বাড়ির সামনে বুনো হাতির ঘোরাফেরা দেখে অনেকেই আতঙ্কে ফের ঘরে ঢুকে যান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাতির দলটি ইস্টার্ন বাইপাসের বাণেশ্বর মোড় হয়ে শহরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে। খাবারের খোঁজেই হাতির পাল লোকালয়ে আসছে এই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন বনকর্মীরা। তাঁদের মতে, বর্ষার মরসুমে জঙ্গলে বুনো হাতির খাবার কিংবা জলের অভাব কখনও হয় না। রাতে শিলিগুড়ি শহরে হানা দেওয়া হাতির দলটি মালজুড়িয়া। স্বভাবে বেপরোয়া বলে এরা শৃঙ্খলাবদ্ধ হাতির পালে থাকতে পারে না। লকডাউনে রাস্তাঘাট একেবারে সুনসান বলেই শহরের মধ্যে চলে এসেছে।
ঘটনাটি নিয়ে বন দপ্তরের উত্তরবঙ্গের কোনও শীর্ষ কর্তার বক্তব্য জানা যায়নি। বৈকুণ্ঠপুর বন দপ্তরের ডিএফও কোনও মন্তব্য করেননি। উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল বিপিন সুদ বলেন, ‘‌বুধবার রাতে শিলিগুড়িতে কী হয়েছিল সেটা খোঁজ নিচ্ছি।’‌