বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ইস্তেহার প্রকাশ করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী। তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘আমরা দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেব। বার্ষিক ৫ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। বছরে চার মাস দুয়ারে সরকার করা হবে।’ পাশাপাশি বুধবার ইস্তাহার প্রকাশ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘বিজেপিকে রোখা দরকার। বামপন্থী বন্ধুরা ভোটটা নষ্ট করবেন না। তৃণমূল কংগ্রেসকে দিন।’ তফশিলি পরিবারকে বছরে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। জেনারেল কাস্ট পরিবারকে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সব ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন করেছি ইস্তাহারে। রামকৃষ্ণের যত মত, তত পথকে আদর্শ করে আমরা চলতে চাই। বাংলায় কখনও ভাগাভাগি হয়নি। জীবনেও হয়নি। সে জন্যে বিজেপিকে রোখা দরকার। যে বামপন্থী বন্ধুরা নো ভোট টু বিজেপি বলছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই। তাঁরা তো ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। তাঁদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভোট অন্য দলকে দিয়ে নষ্ট করবেন না। তৃণমূলকে দিন।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখে তিনি জানান, বাংলার বাজেট ৩ গুণ বেড়েছে। রাজ্যের মানুষের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ বেড়েছে। ১ কোটি ৭৫ লাখ কর্মদিবস তৈরি হয়েছে। কৃষকবন্ধুদের ১০ হাজার করে টাকা দেব। বাংলা আবাস যোজনায় আরও ২৫ লাখ বাড়ি তৈরি করা হবে। প্রতি ব্লকে একটি করে আবাসিক স্কুল তৈরি করা হবে। ১০০ দিনের কাজে আমরা এক নম্বরে। বাংলায় কমেছে বেকারত্ব। আমরা সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। বাংলায় ভাগাভাগি হবে না।
তাঁর সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলির কথাও উল্লেখ করেন মমতা। তাঁর কথায়, সারা বিশ্বে একনম্বর হয়েছে অনেক কাজ। রাষ্ট্রপুঞ্জে স্বীকৃতি পেয়েছে কন্যাশ্রী, সবুজসাথী প্রকল্প। ১০০ দিনের কাজে আমরা নম্বর ওয়ান। সারা ভারতে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। বাংলায় ৪০ শতাংশ দারিদ্র্য কমেছে। কৃষকদের আয় তিন গুণ হয়েছে। মে মাস থেকে বিধবাদের জন্য হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। যোগ্য পড়ুয়াদের জন্য ১০ লাখ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আনা হবে। চার শতাংশ সুদ দিতে হবে। এতে জামিনদার লাগবে না।
