নন্দীগ্রামের ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। বুধবার নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, চক্রান্ত করে চার-পাঁচ জন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এই ঘটনা রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন পেশের দিনই চোট পেলেন মমতা। অভিযোগ সামনে আসতেই সক্রিয় নির্বাচন কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ কমিশনের।
ঘটনার পরেই নন্দীগ্রাম থেকে গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। এসএসকেএম–এর উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তাঁর জন্য গঠিত হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল টিম। জানা গিয়েছে, বাঁ–পায়ে এবং কোমরে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনার খোঁজ নিলেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক প্রাক্তন আইপিএস অফিসার বিবেক দুবে। সেখানে কী ঘটেছে ও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব, বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার ৫টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এদিন রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে ফোন করেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে জানান, ভিড়ের মধ্যে ৪–৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশের কেউ ছিল না বলেও অভিযোগ করেন মমতা। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের তরফে এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
কিভাবে এমন কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও ঘটল এমন ঘটনা? নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ওই চার–পাঁচজন কি করে পৌঁছলেন তৃণমূল নেত্রীর কাছে? প্রশ্ন কমিশনের। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে অপসারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ঠিক তার পর দিনেই এই ধরনের ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিল।
