দেশ ব্রেকিং নিউজ

আট দফাতেই ভোট হবে!‌

দফা কমছে না। বাংলার বাকি ভোট হবে চার দফাতেই। এই নিয়ে বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল দিল্লির নির্বাচন কমিশন। আর শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের দাবি সত্ত্বেও সেই সিদ্ধান্ততেই অনড় রইল কমিশন। কোভিডবিধি আরও কঠোরভাবে মেনে ভোটগ্রহণের পক্ষে সায় দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজেপির বক্তব্য, ভার্চুয়াল প্রচার সম্ভব নয়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা, মিছিল করতে চায় গেরুয়া শিবির।
সর্বদল বৈঠকে শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার জল্পনায় জল ঢেলে দেওয়া হয়। মূলত যে সিদ্ধান্ত উঠে আসে তা হল, কোভিড বিধি পালনের মধ্যে দিয়েই প্রচার চলবে। এখনও ভার্চুয়াল প্রচারের কথা ভাবা হচ্ছে না। শেষ দফার ভোটও কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ীই হবে। সকলেই নিজেদের বক্তব্য জানান রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে। বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তর স্পষ্ট বক্তব্য, ভার্চুয়াল প্রচার সম্ভব নয় এখন। বরং ভোটগ্রহণ পর্বে সংক্রমণ এড়াতে আরও কড়াকড়ি হোক বিধি। শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে ভোটের লাইন আরও দীর্ঘ করা হোক। তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিএমের রবীন দেব জানান, তাঁদের দল প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত। অন্যরাও বামেদের মতো প্রচার বন্ধ করুক।
শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে না হওয়ায় তৃণমূল যদিও কিছুটা হতাশ। সর্বদল বৈঠক শেষে বেরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আমরা প্রথম থেকেই বিস্মিত এখানে আট দফায় ভোট নিয়ে। ফলে কোভিড–সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। মানুষের জীবনকে মূল্যবান মনে করি। আমরা প্রথম থেকেই কম দফায় ভোট চেয়েছিলাম। তিন দফার ভোট একদফায় হলে সবারই সুবিধা হবে।’‌ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফের জানান, ১৭ তারিখ বাদ দিয়ে বাকি তিন দফার ভোট একসঙ্গে হোক। তবে তা যে সম্ভব নয়, সেকথাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সর্বদল বৈঠকের এইসব বক্তব্য দিল্লি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।