জেলা

হলদিয়ার প্রশাসনে রদবদল কমিশনের

ভোটের আগে অশান্ত হচ্ছে নন্দীগ্রাম। যা নিয়ে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। আজ দিনভর নন্দীগ্রামে প্রচারের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। এরকম এক পরিস্থিতিতে সরিয়ে দেওয়া হল হলদিয়ার এসডিপিও ও মহিষাদলের সিআইকে। পাশাপাশি বদলি করা হল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারকেও। মঙ্গলবার শেষ বেলার প্রচারের সময় নন্দীগ্রামের ভূতনি মোড়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের প্রচারে হামলা, ময়নায় বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দার ওপর আক্রমণের ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন কমিশন কর্তারা।
হলদিয়ার এসডিপিও ছিলেন বরুণ বৈদ্য। তাঁর জায়গায় আনা হচ্ছে উত্তম মিত্রকে। যতদিন পর্যন্ত না নির্বাচন শেষ হয় ততদিন বরুণ বৈদ্যকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে না। মহিষাদলের সিআই ছিলেন বিচিত্র বিকাশ রায়। তাঁর জায়গায় নিয়োগ করা হচ্ছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের সিআই শীর্ষেন্দু দাসকে। সূত্রের খবর, হলদিয়ার এসডিপিও এবং মহিষাদলের সিআই এর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি-সহ বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করে ওই তিনজনকে সরানোর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের প্রতিটি বুথে আটজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে। ইলেক্ট্রিসিটি থেকে টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা সব দিকেই বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বদলি করা হল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার অরিন্দম মানিকে। ওই দফতরে তিনি রয়েছেন গত ১০ বছর। তাঁকেও নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে না। ওই পদে নিয়োগের জন্য ৩ অফিসারের নাম পাঠাতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।