গত ১ এপ্রিল থেকে ১০ দিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ তিনগুণ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দফার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে কমিশন জারি করেছে কঠোর নির্দেশিকা। তাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এইভাবে চলতে থাকলে সভা ও মিছিল নিষিদ্ধ করার পথে যাবে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্বের নির্দেশ না মানা হলে প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট তারকা প্রচারকের সভা ও রোড–শো নিষিদ্ধ করা হবে। বিহার ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কোভিড বিধি মানার যে নির্দেশিকা ছিল সেটিই এ বারেের ভোটের আগে ফের জারি করা হয়েছিল। যদিও বিহারের সময়ে যে নির্দেশিকা মোটামুটি পালন করা হয়েছিল, এ বার তা কোথাওই পালন করা হয়নি।
আগামী সপ্তাহেই স্বাস্থ্যদপ্তর ও কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে মহানগরের ঘনবসতি এলাকায় ফের বুথ করে করোনা পরীক্ষা অভিযানে নামছে। তথ্য বলছে, গতবছরের ১৫ অক্টোবর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৭২০। তবে সেই সময়ে দৈনিক কোভিড পরীক্ষা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছিল। এখন পরীক্ষা কম। কিন্তু সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানোর এমন চিত্রে চোখ বুলিয়ে যারপরনাই দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁরা দুষছেন আট দফা লম্বা ভোটকে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬০০ বেশি মানুষ। সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে কলকাতার দৈনিক সংক্রমণও। এই অবস্থায় আগেরবারের মতোই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। আগামী সপ্তাহেই স্বাস্থ্য দপ্তর ও কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে মহানগরের ঘনবসতি এলাকায় ফের বুথ করে করোনা পরীক্ষা অভিযানে নামছে।
এই নির্দেশিকার কথা জানাজানি হওয়ার পর চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নেতাদের কপালে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তার কথায়, কোভিড সংক্রমণ কলকাতার চৌহদ্দি ছাড়িয়ে বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও ছড়িয়েছে। ভোটের কারণে কলকাতা থেকে যাঁরা জেলায় যাচ্ছেন তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কমিশনের এই নির্দেশের পর রাজনৈতিক দল এবং তাদের নেতাদের এবার টনক নড়ে কি না সেটাই দেখার।
