কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনা নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিশেষ বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ বাহিনীকে দিল কমিশন। সুতরাং কেন্দ্রীয় বাহিনীই যে গুলি চালিয়েছিল তা এককথায় প্রমাণিত। এই ইস্যুতে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। এমনকী রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীরা এটাকে হাতিয়ার করে বিতর্কিত মন্তব্য করে কমিশনের কোপে পড়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে গণহত্যা বলেছেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় পুলিশকর্মীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে তাদের। এতে প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। গত শনিবার চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণে শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান চার জন। তৃণমূলের দাবি, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে চারজনকে খুন করেছে বাহিনী।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কমিশনের অস্বস্তি বেড়েছে। কারণ ওই বুথের কোনও ছবি বা ফুটেজ এখনও প্রকাশ করতে পারেনি তারা। ফলে কী পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাই উত্তেজনা প্রশমণে পদক্ষেপ করল কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোট পরিচালনায় স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কমিশনের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।