সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এল বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হার বিরুদ্ধেও। ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাঁর বক্তব্যের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্ররোচনামূলক বক্তব্য এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উসকে দেওয়ার মতো মন্তব্য করার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা।
চতুর্থ দফায় কোচবিহারের শীতলকুচির একটি বুথে গোলমালের জেরে গুলি চালিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে মৃত্যু হয় চারজনের। ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা মন্তব্য করেন, শীতলকুচিতে চার জনের বদলে ৮ জনকে মারা উচিত ছিল। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী চারজনকে মারল, তার জন্যে শো–কজ করা উচিত। যারা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ১৮ বছরের ছেলেকে প্রকাশ্যে গুলি করে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে বোমা ছো়ড়ে তাদের নেত্রী মমতা। ওই মন্তব্যের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এবার রাহুলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।
রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। তার পরেই ব্যবস্থা নিতে হল নির্বাচন কমিশনকে। উল্লেখ্য, সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার ওপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। সেই নিষেধাজ্ঞার সময় পেরিয়ে গেলে রাত সওয়া ৮টায় বারাসতে সভা করবেন মমতা।
বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মমতাকে শো–কজ করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। যেভাবে উনি প্ররোচনার সৃষ্টি করেছেন তাতে একদিন ওঁর প্রচার বন্ধ করা বেঠিক বলে মনে হয় না। কিন্তু দিলীপ ঘোষের কি মুখ বন্ধ করা যাবে? সায়ন্তন বসু বা রাহুল সিনহার কি মুখ বন্ধ করা যাবে? যদি এদের বিরুদ্ধে ও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিরপেক্ষ বলে বিবেচিত হবে না।’