করোনা মহামারির সঙ্গে বন্যা পদ্মাপারে বাড়তি সমস্যা তৈরি করেছে। তবে দুই দুর্যোগকে সঙ্গী করেই ১ আগস্ট কোরবানির ঈদ পালন করতে চলেছে বাংলাদেশের মানুষ। এখানে ২৫ মে রমজানের ঈদ উদযাপন করা হয়েছিল করোনাকে সঙ্গী করেই। এবার করোনার সঙ্গে দোসর হয়েছে আর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা। বন্যাদুর্গত এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসছে না বলেই খবর।
কুষ্টিয়ার খোকসা থানার বাসিন্দা আবদুল মান্নান। তিনি সাড়ে তিন বছর ধরে পালন করেছেন বীর বাহাদুরকে। এবার রাজধানীর ঢাকার শাহজাহানপুর কোরবানির পশুর হাটে অনেক উৎসুক ক্রেতা এক নজর দেখে যাচ্ছেন মান্নানের বীর বাহাদুরকে। গরুর নাম বীর বাহাদুর। মান্নান জানান, সাড়ে তিন বছর ধরে আদর যত্ন করেই বড় করেছি এটিকে। বর্তমান ওজন ২৭ মন। দাম হাঁকছেন ৬ লাখ টাকা। তবে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেবেন। দাম পড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে মান্নানের মূল্যায়ন করোনাভাইরাসের জেরে এই পরিস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, করোনা মহামারির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বন্যা। দেশের প্রায় সব নদ–নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বানভাসি পরিস্থিতি ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মাদারিপুর, শরীয়দপুর, মুন্সিগঞ্জের ঘরে ঘরে থৈ থৈ জল। এই কারণে উল্লেখিত অঞ্চলে এবার কোরবানির পশুর হাট বসার তেমন সুযোগ নেই। এবারে বন্যা আর করোনায় অর্থনৈতিক দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে কোরবানির সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবারে বাজারে সস্তায় মিলছে কোরবানির পশু।
করোনা–বন্যায় অনেকেই অর্থনৈতিক সক্ষমতা হারিয়েছেন। এবারে ৩০ শতাংশ কম কোরবানি হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মহম্মদ রবিউল আলম। বিগত বছর তিনেক ধরে বাংলাদেশে উৎপাদিত গবাদিপশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা পূরণ হত। ২০২০ সালে তা উদ্বৃত্ত থাকবে।