লিড নিউজ

ঈদের শুভেচ্ছায় সুরক্ষার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ–সহ নানা বিশিষ্ট ব্যক্তি ঈদ–উল–ফিতরে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীরাও। তবে সবটাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। তবে এবারের ঈদ গত সববারের তুলনায় একেবারেই অন্যরকম। খুশির ঈদের আনন্দে এবার কাটছাঁট পড়েছে অনেক। রয়েছে নানান বিধিনিষেধ, স্বাস্থ্যবিধির লক্ষণরেখা। নেপথ্যে অবশ্যই করোনা আর তার জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতি লকডাউন।
প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে লিখেছেন, ‘‌ঈদ মুবারক! ঈদ–উল–ফিতরে শুভেচ্ছা। এই বিশেষ অনুষ্ঠান সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বার্তা বয়ে আনুক। সবাই সুস্থ থাকুন।’‌ রবিবার রাতে আকাশে চাঁদ দেখার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে খুশির আমেজ। প্রতিবারই ইদের আগে দোকানে থাকে কেনাকাটার ভিড়। নতুন জামা পরবেন সকলেই, তবে মুখে থাকবে মাস্ক। একসঙ্গে বসে আড্ডা, স্বজনের বাড়ি গিয়ে জমিয়ে খাওয়ার ব্যাপারটা হয়তো এবার থাকবে না। তবে এবার বাড়িতেই হবে সব আয়োজন।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ হিন্দি, ইংরেজি এবং উর্দুতে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‌ঈদ মুবারক! এই উত্‍‌সব ভালোবাসা, শান্তি এবং সম্প্রীতির। দুঃস্থদের যত্ন নেওয়া ও তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথা বলে ঈদ। ঈদে দান করার ধারা বজায় রাখুন আর করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সোশ্যাল ডিসট্যানসিং মেনে চলুন।’‌ এই দিনটাতে নমাজ পড়ার চিত্রটা থাকে অন্যরকম। আবেগ, আত্মিকতার স্বাদ থাকে নমাজ পাঠের পর কোলাকুলিতে। এবার হয়তো সেই চিত্র ধরা পড়বে না। লকডাউনে বাড়িতেই করতে হবে নমাজ পাঠ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এবার করে নিতে হবে আনন্দের ভাগাভাগি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন, উৎসব পালন করুন, কিন্তু সবার আগে মাথার রাখুন সুরক্ষার কথা। এই ঈদ–উল–ফিতর স্বাস্থ্য, শান্তি, উন্নতি এবং সম্প্রীতি বয়ে আনুক আমাদের জীবনে। দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্যরা।