মাসখানেক আগেও ডিমের দাম ছিল একটি ৫ থেকে ৫.৫০ টাকা। সেই ডিমই এখন কিনতে হচ্ছে ৭ থেকে ৮ টাকায়। কিছু বাজারে ডিমের দাম পৌঁছে গিয়েছে ৯ টাকাতেও। তবে ঘটনা হলো, সরকারি স্টলে ডিম বিক্রি হচ্ছে পিস প্রতি ৪.৫০ টাকায়। সর্বত্র তো সরকারি স্টল নেই! ফলে, বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়েই ডিম কিনতে হচ্ছে আমজনতাকে। তাই বাড়ানো হোক সরকারি স্টলের সংখ্যাও বলে দাবি।
কেন এভাবে দাম বাড়ছে? প্রশ্ন করলেই এক ব্যবসায়ীর জবাব, যেমন দামে কিনছি, সেই দামেই তো ডিম বিক্রি করব। সবজির দাম এখনও নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, যে ভাবে একধাক্কায় ডিমের দাম বেড়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ নাগরিকদের বড় অংশ।
কেন খোলা বাজারে এভাবে বাড়ছে ডিমের দাম? ডিম বিক্রেতা তরুণ দত্তর কথায়, মহাজনদের থেকে চাহিদা মতো ডিম পাচ্ছি না। সেই সঙ্গে দামও বেড়েছে। তাই সমস্যা হচ্ছে। রাজ্যের ৫৫ শতাংশ পোলট্রির ডিম আসে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হরিয়ানা থেকে। তবে করোনার কারণে অনেক রাজ্যেই বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। পর্যাপ্ত গাড়িও মিলছে না। রাজ্যেও এখন বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে, চাহিদা অনুযায়ী ডিম আসছে না। এই সুযোগে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।
এই বিষয়ে প্রাণিসম্পদ বিকাশমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘সরকারি স্টলে সাড়ে চার টাকায় ডিম বিক্রি করা হচ্ছে।’ বেসরকারি বাজারে ডিমের দাম যাতে আমজনতার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারে সরকার শীঘ্রই পদক্ষেপ করবে। সরকারি ডিমের স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
You must be logged in to post a comment.