জলপাইয়ের প্রথম গাঢ় রস থেকে তৈরি তেল হলো অলিভ অয়েল। স্বাদ, গন্ধ ও ফ্যাটি এসিডের উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে অলিভ অয়েলকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। এক্সট্রা ভার্জিন, ভার্জিন, পিওর ও এক্সট্রা লাইট। এর মধ্যে এক্সট্রা ভার্জিন হলো সবচেয়ে ভালো মানের। অলিভ অয়েলের কার্যকারিতা নিয়ে এবার আলোচনা করা যাক। জানা যাক, কীভাবে অলিভ অয়েল শরীরকে রোগমুক্ত রেখে সুস্থ ও সতেজ রাখে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে- অলিভ অয়েলে রয়েছে পলিফেনল। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কিনতে হবে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সি্ডেন্ট ও ভিটামিন আছে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে- অলিভ অয়েলে আছে প্ল্যান্ট অক্সি্ডেন্ট, পলিফেনল। এটি দেহকোষ সুরক্ষা করে। এছাড়া এতে আছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা এন্টিক্যান্সার হিসেবে কাজ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
হার্টের জন্য উপকারী- অলিভ অয়েল কোলেস্টেরল মুক্ত। তবে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড রয়েছে এতে। ফ্যাটি এসিডের সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। এছাড়া শরীরের ক্ষতিকারক চর্বি কমায়। হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ রোধ করে। এছাড়া কারডিওভাস্কুলার ডিজিজের হাত থেকে হৃৎপিণ্ডকে রক্ষা করতে অলিভ অয়েল খুবই উপকারী।