খাবার অপচয় করা ঠিক না। আবার কিছু খাবারের উচ্ছিষ্টান্ন হতে পারে ক্ষতিকর।
আমের খোসা: শুকনা, তাজা বা চামড়াসহ সংরক্ষণ করা আম খেতে মজা লাগলেও খাওয়ার আগে এগুলো খোসা ছাড়িয়ে নেওয়াই ভালো। এসব ফলের খোসায় ‘ইউরুশিঅল’ নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে যা অনেকের মাঝে বিষাক্ততা ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
আপেলের ভেতরের অংশ: যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ কেরি গান্স বলেন, “আপেলের ভেতরের অংশ ও বীজ খাওয়া নিরাপদ নয়। কারণ এই অংশে থাকা উপাদান বিষাক্ত রাসায়নিক ‘সায়ানাইড’য়ে রূপান্তরিত হতে পারে।” অল্প পরিমাণে খেলে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বেশি পরিমাণে অর্থাৎ ১৫টি খেলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।
অঙ্কুরিত বা সবুজ হয়ে যাওয়া আলু: আলু অঙ্কুরিত হলে বা সবুজ রং ধারণ করলে এতে ‘সলানিন’ নামে পরিচিত উচ্চ ঘনত্বের ‘গ্লাইকোআলকালয়েড’ পাওয়া যায়। এর বিষক্রিয়ার কারণে বমি বমি ভাব, ডায়ারিয়া, বমি, পেট খারাপ, গলা জ্বলা, মাথা ব্যথা, চুলকানি, একজিমা, দুঃস্বপ্ন, জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদির সমস্যা দেখা দেবে।
ঘরোয়া বা সাধারণ তাপমাত্রায় থাকা বেঁচে যাওয়া খাবার: অপচয় কমাতে বেঁচে যাওয়া খাবার দিয়ে নানান পদ তৈরি করেন অনেকেই। তবে পুরো বিষয়টা নির্ভর করবে সেটা কতক্ষণ বাইরে ছিল।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ক্রিস্টা লিনার্স বলেন, “খাবারের ধরণ বুঝে সংরক্ষণ করলে তা স্থায়িত্ব বাড়াতে সক্ষম। খাবার সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো উপায় হল তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।”
তিনি আরও বলেন, “ঘরোয়া তাপমাত্রায় চার ঘণ্টার বেশি সময় খাবার রাখলে তা পুষ্টিগুণ হারায় ও রোগ জীবাণু বাসা বাঁধে।”
তাই খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।