বিশ্বজুড়ে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অনিয়মিত জীবনযাপনই মূলত ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ মূলত এই দুই প্রকারের ফ্যাটি লিভার হয়। চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত ওজনই মূলত ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলের পরিবর্তন আনলে তা মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে, অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে সময়মত সচেতন না হলে লিভার সিরোসিস পর্যন্ত হতে পারে। লিভার সিরোসিসে লিভারের কার্জক্ষমতা হারিয়ে যায়। এতে বেড়ে যায় মৃত্যু ঝুঁকি।
এই রোগের উপসর্গ বলতেই পেটে ব্যথা। এছাড়াও দেখা দিতে পারে পেটের উপরের ডানদিকে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, দুর্বলতার মত উপসর্গ। সেক্ষেত্রে শরীরে সুগার ও কোলেস্টেরল বেশি থাকলে সমস্যা বেশি করে দেখা যায়। এভাবে বছরের পর বছর ফেলে রাখলে তা লিভার সিরোসিসে পরিণত হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে চোখ সাদা হয়ে যায়, পা, গোড়ালি বা পেটে ফুলে যাওয়া,চামড়ার সমস্যা,ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়ার মত একাধিক উপসর্গ দেখা যায়। যদিও এই রোগ শুরুতে অতটা সমস্যা সৃষ্টি করে না তবে দিন বাড়তে থাকলে এটি ক্রমাগত জটিল হয়ে পরে।এই অসুখ থেকে বাঁচতে গেলে আপনার প্রয়োজন প্রেশার কমানো,ওজন কমানো,জোরে হাঁটা, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ,নিয়মিত ব্যায়াম করা।
ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করে লেবু। এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা চর্বি গলাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অন্যতম সেরা প্রতিকার হল অ্যাপল সিডার ভিনেগার। এটিও লিভারের পাশে জমে থাকা চর্বিকে কমিয়ে লিভারকে সুস্থ-স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। যতটা সম্ভব মশলা, ভাজা খাবার, মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে।