ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

চাপে পড়ে মেমু-প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার পূর্ব রেলের

দীর্ঘ ছয়মাস স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালু থাকার পর অবশেষে পূর্ণাঙ্গ লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় খুশি হয়েছিল রাজ্যের নিত্যযাত্রীরা। যতই ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ছাড়পত্র আসুক না কেন ভিড় হচ্ছিল ভালোই। কিন্তু রাজ্যের কয়েকটি অংশে প্যাসেঞ্জার ও মেমু ট্রেনের টিকিটের দাম আচমকাই তিনগুণ বেড়ে যায়। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় সব মহলে। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। ফলে চাপে পড়ে বর্ধিত যাত্রীভাড়া প্রত্যাহার করল পূর্ব রেল।

১ নভেম্বর থেকেই যাত্রীরা টিকিট কাটতে গিয়ে জানলেন ভাড়া বেড়ে গিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, কোনও নোটিশ ছাড়াই এই ভাড়া বেড়েছে। শিয়ালদা-লালগোলা, বর্ধমান-রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ, বর্ধমান-আসানসোল, আদ্রা-আসানসোলের মতো বেশ কয়েকটি রুটে প্রায় তিনগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছিল রেলযাত্রীদের। রেলের অবশ্য দাবি ছিল, আগে থেকেই ঠিক ছিল মেমু (Mainline Electric Multiple Unit বা MEMU) এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির ভাড়া কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হবে ভিড় নিয়ন্ত্রনের জন্য। বর্ধিত ভাড়ার জন্য যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ ট্রেনে না ওঠেন সেটাই ছিল রেলের লক্ষ্য। কিন্তু এই বর্ধিত ভাড়ার জন্য সর্বস্তরেই চাপ তৈরি হয়। অবশেষে পিছু হঠল পূর্ব রেল। মঙ্গলবারই জানিয়ে দেওয়া হল লকডাউন পূর্ববর্তী সময় যা ভাড়া ছিল সেটাই নেওয়া হবে এবার থেকে। ফলে স্বস্তির হাসি যাত্রীদের।