রবিবার তিলোত্তমায় মহাযুদ্ধ। ময়দানে ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বির ম্যাচ। বৃহস্পতিবার মোহনবাগান ফাইনালে উঠতেই টিকিট কাটার হিড়িক শুরু হয়ে যায়। ক্লাবের সামনে টিকিট কাটার জন্য ভিড় জমতে থাকে। রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়েও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ উঠছিল।
ডুরান্ডে অনলাইনে টিকিট কাটা যায় না, তাই ভরসা অফলাইন। এদিকে দুই ক্লাবই টিকিট ‘সোল্ড আউট’ এর নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর জেরে ক্লাবের সামনে বিক্ষোভও দেখান ইস্ট-মোহন সমর্থকেরা। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বিক্রি হবে কিছু টিকিট। ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি হবে। তবে গতকালের মত আজও চিত্রটা একই হয় কিনা সেটাই দেখার।
একদিকে টিকিটের জন্য সমর্থকদের হাহাকার, এরমধ্যেই অভিযোগ ওঠে চড়া দামে ডার্বির টিকিট ব্ল্যাক করার। শনিবার রাতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পাশে হানা দিয়ে ৪ টিকিট ব্ল্যাকারকে হাতেনাতে ধরে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। তাদের কাছ থেকে ডুরান্ড কাপের ফাইনালের বিপুল সংখ্যক টিকিট উদ্ধার হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। পারদ চড়ছে। খৈয়ের মতো উড়ে গিয়েছে টিকিট, ক্লাবের দাবি এমনটাই। কিন্তু সমর্থকেরা তা মানতে নারাজ। আজ বিকেল ৩ টা পর্যন্ত কিছু টিকিট পাওয়া যাবে।