আন্তর্জাতিক

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল চিন। কিন্তু রবিবার চিনের উত্তরের শহর তাংশানে ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে গেল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৭। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৭৬ সালে চিনে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তার সঙ্গে তুলনা চলতে পারে এই ভূমিকম্পের। অর্থাৎ ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশ ছিল বলে খবর।
জানা গিয়েছে, রবিবার তাংশানের কাছাকাছি জায়গায় ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। বেজিং থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে এই তাংশান। যদিও চিনের সিসমোলজিক্যাল অথরিটি জানিয়েছে, চিনের আজকের ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.১। উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই কয়লা খনির শহর তাংশানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ১০ লক্ষ মানুষ। সেইদিন ৭.৮ ও ৭.১ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প ঘটেছিল। প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
গত মার্চ মাস থেকেই একের পর এক ভূমিকম্প ঘটেই চলেছে চিনে। মার্চে নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতে হয় বিধ্বংসী ভূমিকম্প। চিনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার জানায়, রিখটার স্কেলে ৫.৯ মাত্রার ওই কম্পনটির কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বতের ২৮.‌৬৩ ডিগ্রি উত্তর ও ৮৭.‌৪২ ডিগ্রি পূর্ব অক্ষাংশে। এরপরই মে মাসে দক্ষিণ–পশ্চিম চিনের উন্নানে ভূমিকম্প হয়।
মারণ করোনাভাইরাসের ধকল সামলে উঠতে না উঠতেই একের পর এক ভূমিকম্প চিনে। তারই মধ্যে বেশ কিছু অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন সীমান্ত নিয়ে নাজেহাল চিন। সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে প্লেগের হানা। ফলে করোনার ধাক্কার মধ্যেই একের পর এক ঘটনায় বেসামাল চিন। যদিও কোনও ক্ষেত্রেই বাকি বিশ্বের জন্যে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য প্রমাণ দেয় না চিনের কমিউনিস্ট সরকার।