রবিবারের বারবেলায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের রাজধানী নয়াদিল্লি। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ২.১। এখনও পর্যন্ত হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে করোনা আবহে এই কম্পনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেন বারবার নয়াদিল্লিতে ভূমিকম্প হচ্ছে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রবিবার দুপুর ১২টা ২ মিনিটে দিল্লির পাঞ্জাবি বাগ এলাকায় প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের উৎস ছিল ভূগর্ভের ৭ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। দেশের অন্দরে যে পাঁচটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল রয়েছে, দিল্লি তার মধ্যে অন্যতম। মধ্য এশিয়া এবং হিমালয় বরাবর ভূমিকম্প হলেও দিল্লিতে তা অনুভূত হয়।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বড় কম্পন অনুভূত হয়েছিল দিল্লিতে। তখন দিল্লি থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে তাজিকিস্তানে ছিল কম্পনের উৎস। সেখান থেকে দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। ১৯৫৬ সালের ১০ অক্টোবর ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৭। বুলন্দশহরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। ১৯৬৬ সালে মোরাদাবাদেও বড় কম্পন হয়েছিল, ৫.৮। এই দুটিই জায়গায় পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে।