প্রবল কম্পন কেঁপে উঠল অসম, উত্তর–পূর্ব ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ৷ ভূমিকম্প এত জোরালো ছিল যে কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গেও কম্পন অনুভূত হয়৷ বুধবার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে উত্তর–পূর্বের অসম, উত্তরবঙ্গ–সহ বিহার, বাংলাদেশ, ভুটান। ভূমিকম্পের জেরে কেউ প্রাণ না হারালেও খুবই শক্তিশালী ছিল সেই ভূমিকম্প। কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। ভেঙে পড়ে ভৈরবকুণ্ড পাহাড়ের একাংশ!
এরপরেই সমস্ত মহল থেকে চিন্তা শুরু হয়৷ সব পরিস্থিতির মোকাবিলায় তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ঘটনার পরেই ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ প্রধানমন্ত্রী ফোনও করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকে৷ অসমের উদলগিরি জেলায় অরুণাচল প্রদেশ এবং ভুটান সীমান্তের সন্ধিস্থলে অবস্থিত ভৈরবকুণ্ড পাহাড়। তীব্র ভূমিকম্পের জেরে সেই পাহাড়ের একাংশ ভেঙে পড়ে। ঘটনার ভিডিও সামনে আসতেই ভাইরাল হয়ে যায় সেটি।
বুধবার সকালে প্রবল কম্পন অনুভূত হয় তেজপুরে৷ ন্যাশানাল সেন্টার অফ সিসমোলজি জানায়, রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪৷ প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয় সকাল ৭.৫১–এ৷ ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র তেজপুর থেকে ৪৩ কিলোমিটার পশ্চিমে৷ উল্লেখ্য, এদিন অসম–সহ একাধিক স্থানে অনুভূত হয় তীব্র ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রার এই ভূমিকম্পে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, মালদা কেঁপে ওঠে। কলকাতাতেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। কম্পনের উৎসস্থল ছিল গুয়াহাটির ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সোনিতপুরে।
এরপর দুটি আফটার শক অনুভূত হয়৷ রিখটার স্কেলে এগুলির মান ৪.৩ এবং ৪.৪৷ উত্তরবঙ্গ ও অসমের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল কম্পনের খবর সামনে আসতে শুরু করে৷ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই ভূমিকম্পের বিষয়টি ট্যুইট করে জানান৷ যাঁরা ভূমিকম্প অনুভব করেছেন তাঁরা জানিয়েছেন প্রায় ৩০ সেকেন্ড কম্পন অনুভূত হচ্ছিল৷ বিল্ডিং পুরো কাঁপতে থাকে৷