সাতসকালে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা। বুধবার সকাল ৮টার একটু আগে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পন অনুভূত মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও সংলগ্ন অঞ্চল। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আর তীব্রতা নিয়ে একটু দ্বন্দ্ব রয়েছে দু’টি সংস্থার মধ্যে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানাচ্ছে ৪.১ মাত্রার এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল নদিয়ায়, কৃষ্ণনগর থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তরে। ইউরোপিয়ান–মেডিটেরিনিয়ান সিসমোলজিকাল সেন্টারের দাবি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি, তীব্রতা ছিল ৩.৮।
জানা গিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল হল বহরমপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পূর্ব। ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এদিন সকালে দুর্গাপুরে ৪.১ তীব্রতার কম্পন অনুভূত হয়েছে। বহরমপুর আর কৃষ্ণনগরের মানুষ এদিন সকালে এই কম্পন টের পেয়েছেন আর তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চারদিন আগেও একবার দুলে উঠেছিল বহরমপুরের মাটি। গত ২১ আগস্ট সেই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিমবঙ্গ–ঝাড়খণ্ড সীমানার সাহেবগঞ্জে। ৪.৩ তীব্রতার ওই কম্পনের পর ফের একটা কম্পন চিন্তা বাড়িয়েছে।
কম্পনের উৎসস্থল ছিল দুর্গাপুর থেকে ১১০ কিমি পূর্ব–উত্তরপূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি গভীরে। এই কম্পনগুলির বেশিরভাগই বাঁকুড়া–পুরুলিয়ায় উৎপত্তি হয়েছে। নদিয়ায় এই নিয়ে গত এক বছরে দু’বার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হল। তবে আতঙ্ক ছড়ালেও এদিনের কম্পনের মাত্রা মৃদু হওয়ার ফলে বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।