মঙ্গলবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অনুষ্ঠিত হল বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকা ইনসাফ সভা৷ আনিস খান, মৈইদুল মিদ্দা, সুদীপ্ত গুপ্ত, স্বপন কোলে ও সাইফুদ্দিনের বিচার চেয়ে পথে নামে সিপিএম-এর ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। একইসাথে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ইনসাফ চাইতে আজ বামেদের এই সভা অনুষ্ঠিত হল। দুপুর ১২টা থেকে ধর্মতলায় বামেদের সভার জেরে কার্যত স্তব্ধ থাকল ধর্মতলা। মধ্য কলকাতায় তৈরি হয় ব্যাপক যানজট।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। যদিও তাঁদের সভা এক মাস আগে ঘোষণা করেও কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি বাম ছাত্র-যুবদের এই ইনসাফ সভার।
তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি বহাল রাখার কথা জানায় ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতৃত্বেরা। বলা হয়, প্রয়োজনে পুলিশ ও প্রশাসনিক বাধা উপেক্ষা করেই হবে সভা।
এদিন তিনটি বড় মিছিল ধর্মতলার ইনসাফ সভায় এসে পৌঁছয়। একটি মিছিল আসে শিয়ালদা থেকে দ্বিতীয়টি হাওড়া স্টেশন থেকে এবং তৃতীয়টি পার্কস্ট্রিট থেকে। তিনটির মধ্যে শিয়ালদা স্টেশন ও হাওড়া স্টেশনের মিছিল দুটি বড় ছিল। পার্কস্ট্রিট থেকে শুরু হওয়া মিছিলটিতে মূলত কলকাতা জেলার বাম ছাত্র-যুব কর্মীরাই অংশগ্রহণ করেন। বাকি দুটিতে উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বর্ধমান জেলার কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন।
প্রত্যেকটি মিছিল বেলা সাড়ে বারোটার মধ্যে শুরু করে দেওয়া হয়। বেলা একটার মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সেই মিছিল ধর্মতলায় মেশে। এরপর বক্তব্য শুরু হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সিপিএম তথা ডিওয়াইএফআইয়ের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন তাঁর আগে প্রয়াত ছাত্র নেতা আনিস খানের বাবা সালেম খান বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও, বক্তব্য রাখেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতিকুর রহমান ও ধ্রুবজ্যোতি সাহা প্রমুখরা ৷