ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেল বাঙালির আবেগ, দুর্গাপুজো। ধর্ম এবং শিল্পের মেলবন্ধনের জন্যেই ইউনেস্কোর ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকায় জুড়ে গেল দুর্গোৎসবের নাম। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবেল কালচার হেরিটেজ তথা অনুনভবনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেওয়ার কথা জানানো হয়।
দুর্গাপুজো বাংলার ঐতিহ্য। প্রাণের উৎসব। সবার উৎসব হয়ে ওঠে এই পুজো। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মেতে ওঠে এই উৎসবে। বর্তমানে বঙ্গ সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবার পেল আন্তর্জাতিক সম্মান।
ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষজন। উৎসবের টানে দূরদূরান্ত থেকে ঘরে ফিরে মানুষ। শুধু দশদিনের উৎসবই নয়, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই আনন্দে মেতে থাকে বাঙালি।
১৩ ডিসেম্বর থেকে প্যারিসে বসেছে ইউনেস্কোর বিশেষ কমিটির সভা। যা চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই সভাতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে দুর্গোৎসবকে আন্তর্জাতিক উৎসবের স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে এই আবেদন পৌঁছে গিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থায়। সেই আবেদন মূল্যায়ন করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। সেই বিচারে এবার হেরিটেজ তকমা পেল বাংলার প্রাণের উৎসব, দুর্গোৎসব। দুর্গাপুজোর এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশির জোয়ার বইছে বাঙালির হৃদয়ে।