জেলা

মেলেনি পুজোর সরকারি অনুদান!

দুর্গাপুজোর ঘোষিত সরকারি অনুদান নিয়েও রাজনীতির অভিযোগ! মুসলিম এবং হরিজন মহিলারা পুজোতে অংশগ্রহণ করায় মিলেনি সরকারি আর্থিক সাহায্য বলে দাবি করেছে বিজেপি। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন পুজো উদ্যোক্তারা।

“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এই বার্তাই বহন করে ধূপগুড়ি ৩ নং ওয়ার্ডের সম্প্রীতি মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো কমিটির পুজো। জাঁকজমক এবং জৌলুসহীন এই পুজো। কিন্তু গুরুত্ব অন্য জায়গায় অপরিসীম। হিন্দু মহিলাদের পাশাপাশি মুসলিম এবং হরিজন সম্প্রদায়ের মহিলারাও এই পুজোতে শামিল হয়েছেন। সব ধর্ম সমান, জাতিগত ভেদাভেদ নেই, এই বার্তা বহন করে সম্প্রীতি মহিলা পরিচালিত এই দুর্গাপুজো। সব ধর্ম সমান এবং সম্প্রীতির বার্তা বহন করলেও সরকার ঘোষিত সরকারি অনুদান তারা পায়নি।

ধূপগুড়ি শহরে পুজোতে সম্প্রীতির বার্তা। মাজার শরিফের সামনে পুজোর প্যান্ডেল। ঢাক-কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে চলছে মা দুর্গার আরাধনা। আর এই উৎসবে শামিল হয়েছেন হিন্দু-মুসলিম থেকে শুরু করে সব ধর্মের মানুষেরা। ধূপগুড়ি শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের দরবেশ পাড়ায় বিগত পাঁচ বছর থেকে হয়ে আসছে এই পুজো। এই পাড়ায় হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষদের পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরও বসবাস রয়েছে। আর এই কারণেই এই পাড়ায় যে কোনও উৎসবে মেতে ওঠেন সমস্ত ধর্মাবলম্বী মানুষ।

যদিও পুজোর আয়োজন করতে হাঁসফাঁস অবস্থা এই পুজো কমিটির। বাইরে থেকে কোনওরকম চাঁদা তোলা সম্ভব হয়নি। এমনকী পুজোর জন্য মেলেনি কোনও সরকারি অনুদান। যার ফলে নিজের থেকেই টাকা পয়সা জোগাড় করে কোনওক্রমে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই পুজো। পুজো কমিটির সদস্যরা চাইছেন সরকারি অনুদান। তবে সরকারি অনুদান মেলেনি কেন সেই প্রশ্ন এখনও অধরা।

পুজো কমিটির উদ্যোক্তা পাপিয়া দে এবং ফিরোজা খান বলেন, “আমরা সব ধরনের মানুষগুলো এই পুজোটা করে থাকি। মুসলিম হিন্দু হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে পুজোটা করা হয়। তবে আমরা সরকারি অনুমতি নিয়ে পুজো করলেও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত অনুদান দেওয়া হয় না আমাদের।’‌