করোনা আবহেই প্রায় ৩৩ হাজার মণ্ডপে পুজোর আয়োজন করছে বাংলাদেশে। ঢাকা–সহ দেশের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। আর হাতে মাত্র একটা মাস। তাই নাওয়া–খাওয়া ভুলে প্রতিমা গড়তে ব্যস্ত তাঁরা।
ঢাকায় প্রতিমার কাজ করতে করতেই এক শিল্পী বললেন, করোনার মধ্যেও পাঁচটি মণ্ডপের কাজ পেয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছেন বেশ কয়েকজন সহযোগীও। রমনা কালীবাড়ির কাজটিই তাঁর ভাগ্যদেবতা। প্রতিবছরই এখানের প্রতিমার কাজটি তাঁরাই করে থাকেন। কাছেই রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক জগন্নাথ হলের প্রতিমা তৈরির কাজও।
জানা গিয়েছে, করোনা প্রাদুর্ভাবকে পাশ কাটিয়ে আসন্ন দুর্গোৎসবের আয়োজন এগিয়ে চলছে জোরকদমে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার মণ্ডপে শারদীয়া দুর্গোপুজো হয়েছিল। এবারে অস্থায়ী মঞ্চে পুজো উদযাপন নিষিদ্ধ থাকায় হাজার দুয়েক পুজো কম হতে পারে। আগামী সপ্তাহেই সারাদেশের হিসেব চলে আসবে বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের হাতে। তখন সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব হবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন অর্থাৎ শুভ মহালয়া ১৭ সেপ্টেম্বর। এদিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। শারদীয়া দুর্গাপুজোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল এই মহালয়া। তাই রাজধানী ঢাকা–সহ সারাদেশে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের দপ্তরের সম্পাদক বিপ্লব দে জানান, গোটা দেশে তাঁদের পাঁচ হাজার কমিটি রয়েছে। সব কমিটির আওতাধীন মণ্ডপের হিসেব তাঁরা কেন্দ্রীয়ভাবে পাবেন আগামী সপ্তাহের মধ্যে।