কথায় বলা হয়, যে বাড়ির বাস্তু ভালো থাকে সে বাড়িতে উৎসব লেগেই থাকে। বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখিত কয়েকটি নিয়ম আছে যাকে মেনে বাড়ি করলে, বাড়ি সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও আনন্দে ভরে যায়। এর মধ্যে দূর্বা ঘাস কে নিয়ে ও কয়েকটি নিয়ম রয়েছে।
প্রথমেই বলি, আমরা দূর্বা ঘাস দ্বারা গণেশ, লক্ষী ও শিবকে পুজো করি, যা সুখ সমৃদ্ধির বাহক। দূর্বা নামক এই ঘাসের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অনেক গুনাগুন উল্লেখিত আছে। আয়ুর্বেদ আমাদের বেদেরই একটি অঙ্গ। এই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নিজের আয়ু অর্থাৎ শরীর কে সুস্থ রাখার ব্যাপারে বলা আছে। দুর্বার উৎপতি সমুদ্র মন্থন থেকে। সমুদ্র মন্থনে বিষ্ণুর শরীর ঘর্ষিত হওয়ায় তার গায়ের রোমগুলি উঠে সেগুলি সমুদ্রের তরঙ্গে ভেসে তীরে লাগে। তা থেকে দুর্বার জন্ম হয়। তাই ভারতীয় রীতিতে দূর্বার মাহাত্ম্য প্রচুর। বাড়িতে এটি থাকলে তা অত্যন্ত শুভ বলেই মনে করা হয়। দুর্বাষ্টমী ব্রত পালন থেকে শুরু করে বিপত্তারিণী পুজো সবেতেই দূর্বা অন্যতম। বেদে বলা আছে দূর্বা ধারনে দেহ অজর ও অমর হয়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, দূর্বা পিত্ত বিকার দূর করে। মানব দেহে পিত্ত বিকারের দ্বারা কঠিন রোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়া দেহে অলসতা, ক্রোধ, বদহজম প্রভৃতি কমাতেও দূর্বা অমৃত সমান।