আর কয়েক ঘন্টা পরেই কলকাতা ময়দানের ডার্বি। বিশ্বজুড়ে বাঙালি আজ কমবেশি দুভাগে ভাগ হয়ে যাবেন এই ম্যাচ ঘিরে। দুই শিবিরের কাছে সম্মানের লড়াই কলকাতা ডার্বি। ইলিশ – চিংড়ি যুদ্ধ শনিবার। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের আবেগে ও উন্মাদনায় ভাসছেন দু দলের সমর্থকরা। ইলিশ – চিংড়ি যুদ্ধ তথা বাঙাল – ঘটি ম্যাচের আগে ফুটবল জ্বর শহর ও শহরতলি জুড়ে। মোহনবাগান বিগত কয়েক বছর ধরেই এই ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য দেখিয়ে আসছে। ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের শেষ আটটি ম্যাচে সুবিধে করে উঠতে পারে নি লাল হলুদ। বিগত তিন বছর ধরেই আই এস এলে মুখ থুবড়ে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। ২০১৯ সালের পরে তাদের শুধুই মন্দার মধ্যে কাটছে। তবে এবছর দেশীয় বা বিদেশি – সবদিক থেকেই প্রতিটি পজিশনে ভালো খেলোয়াড় এনে শক্তিশালী দল গড়েছে ইস্টবেঙ্গল।
ডার্বির আগে কার্লেস কুয়াদ্রাত হুঙ্কার ছেড়েছেন, জেতার জন্যই নামবে ইস্টবেঙ্গল। বাগান কোচ নিজেও স্বীকার করেছেন, এবারের ইস্টবেঙ্গল অনেক ব্যালান্সড। সবমিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছেন। তাঁরা মাঠমুখী হবেন লাল হলুদ মশাল জ্বলে ওঠার আশা নিয়ে। কিন্তু মোহনবাগান অত্যন্ত সেট ও শক্তিশালী টিম। ফলে ইলিশ – চিংড়ি যুদ্ধ এবার সেয়ানে সেয়ানে।