আগামী মাসের মাঝামাঝি রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ‘দুয়ারে রেশন’ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এই প্রকল্পে রাজ্যের সব রেশন গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে চাল–গম। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, সেপ্টেম্বরে ১৫ শতাংশ রেশন ডিলারকে এর আওতায় আনা হবে। অক্টোবর মাসে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। ভাইফোঁটার দিন থেকে রাজ্যের সব রেশন ডিলার এই প্রকল্পের আওতায় খাদ্য সরবরাহ করবে, এই লক্ষ্য নিয়ে এগচ্ছে খাদ্যদপ্তর।
খাদ্যদপ্তর সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে এলাকা ভিত্তিক প্রকল্প চালু হবে। ১৪-১৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রকল্পটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে এলাকায় এটি চালু হবে, সেখানকার গ্রাহকরা ওই সময়ের আগে তাঁদের মাসিক বরাদ্দের খাদ্যশস্য রেশন দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। যাঁরা দোকানে যাবেন না, তাঁদের বরাদ্দ বাড়িতে পৌঁছে দেবেন ডিলাররা।
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের জন্য ডিলাররা বর্ধিত হারে কত কমিশন পাবেন, তা এখনও সরকার ঘোষণা করেনি। এদিনের বৈঠকে বিষয়টি উঠেছিল। খাদ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ৭৫ টাকা কমিশন দেওয়া নিয়ে আলোচনা হলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সংগঠনগুলি কুইন্টাল পিছু অন্তত ২০০ টাকা অতিরিক্ত কমিশনের দাবি জানিয়েছে। এখন তারা ৭৫ টাকা হারে কমিশন পায়। এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী জানান, কমিশনের বিষয়টি আলোচনার ভিত্তিতে মিটে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য গাড়ি কিনতে ডিলারদের এক লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে দপ্তর।
বাকি টাকা যাতে ব্যাঙ্ক ঋণ হিসেবে পাওয়া যায়, সাহায্য করবে সরকার। বিশ্বম্ভরবাবু বলেছেন, ২০০ টাকা হারে কমিশন পেলে গাড়ির সহ যাবতীয় খরচ বহন করতে ডিলারদের অসুবিধা হবে না। তবে নিজেদের টাকা খরচ করে ডিলারদের পক্ষে যে এই প্রকল্প চালানো সম্ভব হবে না, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসে নিজেদের খরচেই ডিলাররা গ্রাহকদের বাড়িতে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেবেন।