ছোট বাক্সের হেরোইনের দাম ২০০ টাকা। মোবাইলে বরাত দিলে ঘরে পৌঁছে যাবে সেই মাদক। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির। করোনা আবহে বনগাঁর অনেক জায়গাতেই চলছে মাদকের ‘হোম ডেলিভারি’। এখন পুলিশের নজর এড়িয়ে চলছে এভাবেই ব্যবসা। পাকাপাকি বন্ধ হয়নি কারবার।
সম্প্রতি বনগাঁর মতিগঞ্জ হাট এলাকায় হেরোইনের খুচরো কারবারি এক যুবককে ‘পুরিয়া’ দিতে এসেছিল। স্থানীয়রা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। বনগাঁ শহর জুড়ে নতুন করে হেরোইনের খুচরো কারবার শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, নিয়মিত ধরপাকড় করা হয়। তাতে হেরোইনের বিক্রি অনেকটাই বন্ধ হয়েছিল। আবার শুরু হয়েছে।
হেরোইন ও গাঁজা–সহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন অনেকে। প্রথম দিকে বন্ধুরা বিনামূল্যে তাঁদের মাদক জোগান দিতেন। আসক্ত হওয়ার পরে মাদক কেনার টাকা জোগাড় করতে কেউ বাড়ির জিনিসপত্র, গয়না চুরি করে বিক্রি করেছেন। মাদকাসক্ত নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য চুরির মতো অপরাধ করে অনেকে। চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং করিয়ে ওদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।