বাংলাদেশে জোরালো মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। এবার পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে এক কুখ্যাত রোহিঙ্গা ইয়াবা মাদক পাচারকারী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে টেকনাফ ২ বিজিবি’র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটন্যান্ট কর্নেল মহম্মদ ফয়জল হাসান খান জানান, ঘটনাস্থল থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় অস্ত্র এবং বন্দুকের কার্তুজের দু’টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এনকাউন্টারে নিহত ব্যক্তি রোহিঙ্গা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর ১ নম্বর স্লুইসগেট এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পাচারকারীদের। গতকাল রাতে নাফ নদীতে স্পিডবোট নিয়ে বিজিবি’র একটি বিশেষ দল টহল দিচ্ছিল। তখন তাঁরা দেখতে পান, একটি কাঠের নৌকায় করে তিন ব্যক্তি মায়ানমারের জলসীমা পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। টহলরত বিজিবি’র সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে পাচারকারীরা বিজিবি’র সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পালটা হামলা চালায়। দুই পাচারকারী নাফ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মায়ানমার সীমান্তের দিকে চলে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পাওয়া যায়।
নৌকা–সহ তাকে উদ্ধার করেন বিজিবি’র সদস্যরা। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উলেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গোটা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন মহিলা–সহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৫১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। যে কারণে আগেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার।