দেশ লিড নিউজ

ডাল লেকের উপর ড্রোন, জারি উচ্চ–সতর্কতা

জম্মুতে সেনা ছাউনিতে ড্রোন হামলার পর সতর্ক প্রশাসন। পরে আরও দু’টি ড্রোন গুলি করে নামায় সেনা। কড়া নজরদারি চলছে আকাশ পথে। ইতিমধ্যেই জম্মু বিমান ঘাঁটিতে হামলার তদন্তের দায়িত্ব এনআইএকে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতেও কুঞ্জওয়ানি এলাকায় সন্দেহজনক ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে।

এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ডাল লেকের উপর উড়তে থাকা ড্রোন নজরে আসতেই হইচই শুরু হয়। বুধবার ভোর রাতে দুবার কালুচক ও কুঞ্জয়ীনী এলাকায় ড্রোনের দেখা মিলেছে, সেনা সূত্রে এমনটাই খবর। বিগত চারদিনে প্রায় সাতটি ড্রোনের হদিশ মিলেছে জম্মুতে।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ড্রোনটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। কুমার থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। শ্রীগনরে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ড্রোন হামলাকে ‘প্রযুক্তিগত হুঁশিয়ারি’ বলে উল্লেখ করেছেন বিজয়। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি দিয়েই এর মোকাবিলা করা হবে।’ উপত্যকার সমস্ত সেনা শিবিরকে বিষয়টি নিয়ে অ্যালার্ট করা হয়েছে।

বিশেষ করে জম্মু অঞ্চলে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিষয়টি উত্থাপন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সুঞ্জওয়ান থেকে এয়ারফোর্স স্টেশনের দূরত্ব ৬.৫ কিলোমিটার এবং কালুচক থেকে দূরত্ব ৪.৫ কিলোমিটার। রবিবার রাতেও জম্মুর কালুচক মিলিটরি স্টেশনের কাছে আকাশে দুটি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল বা ড্রোন দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা।

উল্লেখ্য, শনিবার গভীর রাতে, ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে। তারপরে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা থেকে অবন্তিপোরায় স্পেশাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান যোগকেই সামনে আনছেন কাশ্মীরের পুলিশ কর্তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ সচিব ভি এস কে কৌমুদী বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার নানাভাবে হচ্ছে। জঙ্গিরা ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে। আবার ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ জোগাড় করছে। এখন ড্রোনের মাধ্যমে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। সন্তাসবাদীদের এই কার্যকলাপ নিয়ে পাকিস্তানকেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও সুর চড়াল নয়াদিল্লি। এই ধরনের নাশকতা যে ভবিষ্যতের জন্য বড় বিপদ, তা উল্লেখ করেই সরব হয় ভারত। অন্যদিকে, সীমান্ত-সহ জম্মুতে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। পাকিস্তানের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।

এদিকে, পুলওয়ামা জেলায় পুলিস আধিকারিক ও তাঁর পরিবারকে খুনের ঘটনায় জয়েশ-ই-মহম্মদের দুই জঙ্গিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন পাক অনুপ্রবেশকারীও রয়েছে। খুব শীঘ্র তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।