দেশ লিড নিউজ

পাকিস্তানের বড় নাশকতা ভেস্তে দিল পুলিশ

জম্মুতে বড় নাশকতার ছক বানচাল করল পুলিশ। হামলার আগেই গুলি করে নামানো হল একটি পাকিস্তানি ড্রোন। উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। এবার চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে পারল না ড্রোন। জম্মুর কানাচকে একটি ড্রোনকে উড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ। কয়েকবারের চেষ্টায় গুলি করে নামানো হয় ড্রোনটিকে। উদ্ধার হয় ৫ কেজি আইইডি বিস্ফোরক।

দেখা যায় ড্রোনটি পাকিস্তানের এবং তাতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক আইইডি। জম্মু বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার মতোই কোনও বড় নাশকতার ছকে ড্রোনটিতে বিস্ফোরক ভরে ভারতে পাঠান হয়েছিল বলে একপ্রকার নিশ্চিত সেনা ও পুলিশ। ভারত–পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার ভিতরে আখনুরের কানাচকে ওই ড্রোনের দেখা মেলে। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। ওই ড্রোনটি একটি হেক্সাকপ্টার ড্রোন ছিল।

মনে করা হচ্ছে, জম্মুর বিমানঘাঁটির আদলেই ফের একবার বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। ড্রোনটি পাকিস্তান থেকে এসেছে বলেই মনে করা হয়েছে।
প্রথমে জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা। এরপর উপত্যকার আকাশে দেখা যাচ্ছে একের পর এক সন্দেহজনক ড্রোন। সেনার কাছেও ধরা পড়ছে চালকবিহীন এই সমস্ত উড়ো যান। মাটির পাশাপাশি এবার উপত্যকার আকাশেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে সেনা। ফলে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি ড্রোনকে নষ্ট করা হয়েছে। এমনকী, দিল্লিতেও জারি হয়েছে ড্রোন হামলার সকতর্কতা। এই বিষয়ে প্রাক্তন উইং কম্যান্ডার আরকে দাস বলেন, ‘‌বিষয়টি খুবই বড় ও গুরুতর। এতদিন ড্রোনের দেখা মিললেও তা গুলি করে নামানো সম্ভব হচ্ছিল না। গতকাল রাতে ড্রোনটি নামানো সম্ভব হওয়ায় এ বার এই ড্রোনের উপর গবেষণা করে অনেক তথ্য জানা যাবে। ড্রোনগুলি কোন দেশ তৈরি করেছে, তার গতিবেগ কত, কত কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে, এর বিশেষত্ব কী, এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানা যাবে।’‌