দেশ ব্রেকিং নিউজ

জম্মু বিমানঘাঁটিতে ফের ড্রোন

সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের সফরের মধ্যেই ফের ড্রোন আতঙ্ক। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ফৌজের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জম্মু পৌঁছন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ রাওয়াত। তারপরই রাতে সেখানে বায়ুসেনার ঘাঁটির কাছে ড্রোনের দেখা পাওয়া যায়। ড্রোনের সফট টার্গেট হয়ে গিয়েছে জম্মু বিমানঘাঁটি। ২৭ জুন জোড়া হামলার পর এই নিয়ে মোট ৬৭ বার ড্রোন এল বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে। লাগাতার এই ড্রোনের আনাগোনা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে উপত্যকায়। তবে ২৭ জুনের পর আর কোনও হামলা চালাতে পারেনি ড্রোনগুলি।

সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোন হানার নেপথ্যে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সীমান্তে ফৌজের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জম্মুতে রয়েছেন জেনারেল রাওয়াত। সেখানে সেনার একাধিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন তিনি। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেনার স্থানীয় কমান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন রাওয়াত। বায়ুসেনার অ্যান্টি ড্রোন টেকনলজির মাধ্যমে ড্রোনটি ধ্বংস হয়ে যায়। যদিও একাধিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ড্রোনটিকে লক্ষ্য করে বায়ুসেনা গুলি ছুড়লে সেটি পালিয়ে যায়। লাগাতার এই ড্রোন রুখতে বায়ুসেনা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে বসেছে অ্যান্টি ড্রোন প্রযুক্তি।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে বোমা ফেলে পালায় দু’টি পাকিস্তানি ড্রোন।

 

সীমান্তের ওপার থেকে এসে হামলা চলিয়েছিল যানগুলি বলে খবর। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। ফের ২ জুলাই ভোরবেলায় জম্মু-কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টরের কাছে ড্রোনের দেখা মেলে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে ওই ড্রোনটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাকিস্তান সীমান্তের দিকে ফিরে যায় ওই ড্রোনটি। সেই সময় বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছিল, সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্যই ওই ড্রোনটি পাঠানো হয়েছিল।