অনেকটাই কমে গেল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। যা প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি। তবে মৃত্যুর ঊর্ধ্বমুখী হার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত একদিনে দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২,৫৫, ৮৭৪ জন এবং একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬১৪ জন। এই মুহূর্তে পজিটিভিট রেট ১৫.৫২ শতাংশ। তথ্য বলছে, গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৫৩ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টা দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬,৪৯,১০৮, যার মধ্যে সাড়ে ১৫ শতাংশই পজিটিভ। দেশে সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রের কোভিড পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।
সোমবার থেকে মুম্বইতে সমস্ত স্কুল খুলে গিয়েছে। কড়া বিধি নিষেধ মেনে চলছে ক্লাস। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বাংলাতেও। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে স্কুল খোলার দাবিতে মিছিল হতে দেখা গিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, এখন স্কুল না খুললেও ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ প্রকল্পের সূচনা হবে ফেব্রুয়ারি থেকেই। মহামারীর বিরুদ্ধে লডা়ইয়ে টিকাকরণ চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে ১৬২.৯২ কোটি দেশবাসী টিকা পেয়েছেন। চলছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। করোনা রোধ করতে পাশাপাশি বুস্টার ডোজ শুরু হয়েছে।
এদিকে, মাথাচাড়া দিচ্ছে ওমিক্রনের সাব-স্ট্রেন BA.2। যা কিনা RT-PCR পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না। ফলে বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। সূত্রের খবর বলছে, ডেনমার্কে প্রথম এই সাব-স্ট্রেনটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ইংল্যান্ড, ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গোষ্ঠী সংক্রমণ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন। মাস্ক পরা, ভিড় এড়ানো, স্যানিটাইজারের ব্যবহারের মতো করোনার বিধিনিষেধগুলি ও টিকাকরণই বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র ঢাল হতে পারে কোভিডে যুদ্ধে।