রাজ্যে নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ। এক ধাক্কায় ২০০-র নীচে নেমে গিয়েছে কোভিড গ্রাফ। তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও স্বস্তি দিচ্ছে না মৃতের সংখ্যা। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৫ জন। সোমবার সেই সংখ্যাটা ছিল ২৯৬। তবে বেশ কয়েকটি রাজ্যের করোনা গ্রাফ এখনও উদ্বেগজনক। মহারাষ্ট্র, রাজধানী দিল্লি, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির পরিসংখ্যান নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে। দিল্লিতে ওমিক্রনের নতুন কোনও সাব ভ্যারিয়েন্ট কাজ করছে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য মহল।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লাখ ৪ হাজার ৯৫১ জন। অন্যদিকে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৪৪৬। অন্যদিকে রাজ্যের পাশাপাশি দেশেও কমেছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ, কমেছে মৃত্যুও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫২৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৭২০ জন।
রাজ্যে গত দু’দিন ধরে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫০। মঙ্গলবার তা এক ধাক্কায় ২০০-র নীচে নেমে গিয়েছে। কার্যত তার জেরেই বেশ কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্যবাসী। তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও মৃতের সংখ্যা কমেনি। করোনা টিকাকরণ কর্মসূচির জেরেই রাজ্যে সংক্রমণে হ্রাস টানা সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করছে প্রশাসন। সেই কারণেই পুজোর আগে কোভিড বুস্টার ডোজ দেওয়া শেষ করার কর্মসূচি নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা স্বস্তি দিলেও ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা। সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে করোনাকে জয় করে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।