বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের শেষ মেসেজটা ছিল— চিনের দ্রব্য ব্যবহার করিস না। বন্ধুরা তার কথাও শুনতও। কিন্তু সেটা জানা হল না রাজেশের। হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি’র ছবিটা এখনও চোখের সামনে রয়েছে। তাঁর পাঠানো বন্ধুদের গ্রুপে বরফে ঢাকা সীমান্তের ছবিগুলি মোবাইলের গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে। আর রাজেশ সেই বরফের চাদরে দাঁড়িয়ে দেশের মাটিকে বাঁচাতে গিয়ে বীরের মৃত্যুবরণ করেছে। গ্রামের গাছতলায় বসে মাটির দিকে তাকিয়ে এই বিলাপই করছিলেন রাজেশের কয়েকজন বন্ধু।
বৃহস্পতিবার অবশ্য টেলিকম মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে ৪জি আপগ্রেড করতে চিনের সরঞ্জাম ব্যবহার করা যাবে না। হোয়াটসঅ্যাপে বন্ধুদের একটা গ্রুপ রয়েছে৷ রাজেশ সেখানে সীমান্ত থেকে সুন্দর সুন্দর ছবি পাঠাতেন৷ বাড়ি ফিরলে এই গাছতলাতেই বসত অনাবিল আড্ডা। আজ সব অতীত৷ স্মৃতি আঁকড়ে এই কথাগুলিই আওড়াচ্ছেন বন্ধুরা। ভারত–চিন সীমান্তে যখন উত্তেজনা চরমে তখন চিনের জিনিস বয়কট করতে না বলেছিলেন রাজেশ ৷
সরস্বতী পুজোয় শেষবারের মতো বাড়ি এসেছিলেন রাজেশ ওরাং৷ ফের আসার কথা থাকলেও লকডাউনের জেরে তা হয়নি৷ বরং লাদাখে শুরু হয়ে যায় ভারত–চিন মুখোমুখি সংঘর্ষ৷ আর তাতেই শহিদ হন বীরভূমের জওয়ান রাজেশ ওরাং। ইতিমধ্যেই মানুষের ঢল উপচে পড়েছে শহিদ জওয়ানের বাড়িতে। প্রত্যেকেই বীর জওয়ানকে একবার চোখের দেখা দেখতে চান।
ইতিমধ্যেই শহীদ জওয়ানের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন সাঁইথিয়া বিধানসভার বিধায়ক লীলাবতী সাহা। প্রথমে শহিদ জওয়ানের ছবিতে মাল্যদান করেন। তিনি জানান, এই গ্রামে শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের একটি আবক্ষ মূর্তি বানানো হবে।
