আন্তর্জাতিক

এইচ–১ বি ভিসা সাসপেন্ড!‌ বিপাকে ভারতীয়রা

এবার নিজের অনড় মনোভাবেই শিলমোহর দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চাইলেই এইচ–১ বি ভিসা মারফত বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে পারবে না মার্কিন সংস্থাগুলি। সে বিষয়ই স্পষ্ট করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যার ফলে জোর ধাক্কা খেলেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। গত ২৩ জুন ট্রাম্প প্রশাসন এইচ–১ বি ভিসা–সহ অন্যান্য বিদেশি কর্মী ভিসা সাসপেন্ড করে। আমেরিকায় এই নির্বাচনের বছরে সেখানকার কাজের বাজার শুধুমাত্র মার্কিনীদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে এই পদক্ষেপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত এই সাসপেনশনের নির্দেশ জারি থাকবে বলে জানান তিনি।
বিগত বছরগুলিতে ভারত–চিন থেকে এইচ–১ বি ভিসার উপর নির্ভর করে হাজার হাজার তথ্য প্রযুক্তি কর্মী নিয়োগ করেছে মার্কিন সংস্থাগুলি। এবার সে পথ সংকীর্ণ করে দিল হোয়াইট হাউস। নয়া নির্দেশে সই করার আগে হোয়াইট হাউসের ওভাল কার্যালয় থেকে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘‌আমেরিকাবাসীরা যাতে আমেরিকায় ভালভাবে বসবাস করতে পারেন সে বিষয় নিশ্চিত করার জন্য নয়া নির্দেশিকায় সই করছি।’‌ বিদেশ থেকে সস্তায় কর্মীদের নিয়ে এসে নিয়োগ করে প্রকারান্তরে মার্কিন নাগরিকদের কাজের বাজার খারাপ করতে আর দেবে না তাঁর প্রশাসন, সাফ জানিয়ে দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আমেরিকাবাসীর মন জয় করে ভোটের বাদ্যি বাজানো ছাড়া আর কিছু নয়। আগের বছরগুলিতে মার্কিন সংস্থাগুলির ৭০ শতাংশই ছিলেন এইচ–১ বি ভিসায় আগত ভারতীয়রা। নির্দেশিকা কায়েম হলে সে সংখ্যায় এই বছর বদল আসবে। আগামী নভেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী তথা দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একটি অনলাইন সমাবেশে বাইডেন জানান, তিনি ক্ষমতায় এলে ফের এইচ–১ বি ভিসা দেওয়া হবে আমেরিকায় বিদেশি নাগরিকদের কাজ করার জন্য। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‌ইমিগ্রেশন পুরোপুরি যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে। ফলে এটা যে কোনও শ্রমিকের পক্ষেই দুর্দান্ত সুযোগ হবে। যাঁরা আমাদের দেশে এসে কাজ করতে চান তাঁদের পক্ষেও এটি দুর্দান্ত হবে। তবে আমাদের দেশে আইনিভাবে থাকতে হবে এবং আমেরিকাকে ভালবাসতে হবে।’‌