লাইফস্টাইল

ভূত চতুর্দশীতে চোদ্দ শাক খাওয়ার কারন জানেন কি! দেখে নিন

হিন্দু মতে, দীপান্বিতা অমাবস্যার আগে চতুর্দশী তিথিতে ভূত চতুর্দশী পালন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এদিন মৃত পূর্ব পুরুষরা মর্ত্যে নেমে আসেন৷ তাঁদের খুশি করতে ও অতৃপ্ত আত্মাদের অভিশাপ থেকে বাঁচতে এদিন নানা আচার পালন করার প্রথা রয়েছে। 

তার মধ্যে অন্যতম হল ১৪ শাক খাওয়া। হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে মৃত্যুর পর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। আকাশ, মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই মিশে থাকেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। সনাতন ধর্ম মতে এই রাতে মর্ত্যে নেমে আসেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। তাই এই দিনে গৃহস্থ বাড়িতে সন্ধের পর ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে। আবার অনেকে মনে করেন অশুভ শক্তি দূর করতে এই দিন সারা রাত আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়। দীপান্বিতা অমাবস্যায় অনেকে অলক্ষ্মী বিদায় করতে লক্ষ্মী পুজো করে থাকেন।

১৪ শাক ভাজা আর ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর পেছনে কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। বলা হয়, হেমন্তের শুরুতে পোকার উপদ্রব দূর করতে বাড়িতে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার ঋতুর পরিবর্তনের কারণে এই সময়টা অসুখ বিসুখ হয় বেশি, তাই ১৪ রকমের শাক খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।

ভূত চতুর্দশী একান্তই বাঙালির উৎসব। কারণ বাঙালি ছাড়া ভূত চতুর্দশী পালন করার প্রচলন তেমন নেই।