দুশ্চিন্তা মানুষকে ক্রমেই গ্রাস করে ফেলতে পারে। এর ফলে শরীরে তৈরি হতে পারে বিভিন্ন রোগ। দুশ্চিন্তা বাড়লে অনেকেই যা খুশি খেতে শুরু করেন। শুয়ে-বসে থাকেন, নেশা করেন। তার হাত ধরে বাড়ে ওজন এবং ওজনের সঙ্গে সম্পর্কিত অসুখবিসুখের আশঙ্কা এবং রোগ থাকলে তার প্রকোপ। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার, হৃদরোগ, গেঁটে বাত ইত্যাদি। মানসিক চাপের সঙ্গে সরাসরি যোগ আছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের। মানসিক চাপের সঙ্গে অনিদ্রা, খিটখিটে মেজাজের সম্পর্ক আছে। সবে মিলে জীবন বিপর্যস্ত হয় আর তাতে কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। বাড়ে সংক্রমণের আশঙ্কা। এছাড়া লাগাতার উদ্বেগে অম্বল, বদহজম বাড়ে। চিকিৎসা না করালে এগুলো আরও বাড়ে। পাশাপাশি নারীদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়ার মূলেও হাত আছে এই উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তার।
মন হালকা করার নতুন পথ খুঁজুন। বই পড়া হোক কী গান শোনা। ঘরে বসে সিনেমা দেখা বা হালকা ব্যায়াম করা যেকোনো পথ বেছে নিন। যোগাসন ও মেডিটেশন অভ্যাসেও মন হালকা হয়। টিভিতে বা মোবাইলে হালকা অনুষ্ঠান দেখুন। হাসির অনুষ্ঠান দেখলে আরও ভালো।
ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ওবেসিটি থাকলে নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। খাওয়াতে রাশ টানুন। ডায়াবিটিস ও মেদ বাহুল্য থাকলে কার্বোহাইড্রেট ও মিষ্টি কম খান। রক্তচাপ বেশি হলে নোনতা খাবার ও ভাজাভুজি বাদ দিন। ঘন ঘন চা-কফি-সফ্ট ড্রিংকস পান করে ঘুম নষ্ট করবেন না। মন ভালো রাখার অর্ধেক ওষুধ কিন্তু ঘুমের মাঝেই লুকিয়ে আছে।
কোনো সমস্যা হচ্ছে মনে হলেই ডাক্তার দেখান। অনেকেই আজকাল অনলাইনে রোগী দেখছেন। চেম্বারে যেতে সমস্যা মনে হলে ফোন করে পরামর্শ নিন। নিজে থেকে ওষুধ খেয়ে বিপদ বাড়াবেন না। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।