অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাবার, ঘুম আপনার শরীরের মেদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। পেটের নিচে থলথলে মেদ আপনার সব সৌন্দর্য ম্লান করে দেয় নিমিষেই। দেহের ওজন বাড়লে মুখে এসে পড়ে তার প্রভাব। মুখ ভারী দেখায়, গাল ফুলে যায়, বিশেষ করে থুতনির নীচে মেদ জমে গিয়ে ডাবল চিন দেখা যায়। থুতনির নিচে অতিরিক্ত মেদ জমে ঝুলে পড়ে। মুখের আদলটাই বদলে যায়। মুখকে বৃত্তাকার রূপ দেয়, ভারী করে দেয় মুখ। চলুন জেনে নেয়া যাক ডাবল চিন কমাতে কী করবেন-
ফেসিয়াল এক্সারসাইজ
ডাবল চিন কমাতে এক্সারসাইজের তুলনা আর কিছুই নেই। অনেক ফেসিয়াল এক্সারসাইজ রয়েছে। মুখের চেহারার বদল ঘটাতে, ফ্যাট দূর করতে এবং পেশীর শক্তি উন্নত করতে ফেসিয়াল এক্সারসাইজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিনের রুটিনে এটা যোগ করলে মুখের পেশি ঠিক থাকে, আপনার মুখকে আরও হালকা করে তুলবে। এক্সারসাইজ ১০ সেকেন্ডের মতো আপনার জ্বিহাকে বাইরে বের করে রাখুন। চিবুক ও ঘাড়ের পেশিগুলো অনুভব না করা পর্যন্ত এভাবে রাখবেন। এই এক্সারসাইজ করলে মুখের মেদ ঝরবে।
কার্ডিও করুন প্রতিদিন
সাধারণত দেহের ওজন বাড়লে মুখেও মেদ দেখা দেয়। তাই মুখের মেদ ঝরাতে হলে দেহের ওজন কমাতে হবে। কার্ডিও বা অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করলে হার্ট রেট বাড়ে। কমবে ওজন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কার্ডিও করলে ফ্যাট নষ্ট হয়। প্রতিদিন ২০-৪০ মিনিট কার্ডিও এক্সারসাইজ করলেই কাজ হবে।
জল পান করুন অনেক বেশি
জল পানের উপকারিতা সম্পর্কে সবারই জানা। মুখের মেদ ঝরাতে পানি খুবই কার্যকর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে যদি জল খান, তাহলে আপনি পরিমাণে কম খাবার খাবেন। কম ক্যালোরি শরীরে গেলে ওজন বাড়বে না। জল মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে।
কার্বোহাইড্রেট খান কম
কুকিজ, ক্র্যাকারস, পাস্তা জাতীয় খাবার খান কম। এগুলো শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ায়। এই সমস্ত খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব কম থাকায় তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। খাবার হজম হয়ে গেলেই খিদে পাবে। আর আপনি বেশি খাবার খেয়ে ফেলবেন।
সোডিয়ামযুক্ত খাবার খান কম
ওজন কমানোর জন্য সোডিয়াম কম খাওয়া দরকার। কারণ সোডিয়াম শরীরে জল ধরে রাখে, যা শরীরের ওজন বাড়ায়। তাই সোডিয়াম যুক্ত খাবার খান কম।
ফাইবার বেশি খান
মুখের মেদ ঝরাতে ফাইবারযুক্ত খাবার খান বেশি। ফাইবার যুক্ত খাবার হজম হতে সময় লাগে, ফলে পেট অনেকক্ষণ ভরে থাকবে, খিদেও পাবে দেরিতে। প্রতিদিন কম করে ২৫-৩৮ গ্রাম ফাইবার খাওয়া দরকার।
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুম
ঘুম আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ দরকার। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে। কম ঘুমের ফলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হয় যা ওজন বাড়িয়ে তোলে।