উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে চ্যালেঞ্জের মুখে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৩১ অগাস্টের মধ্যে সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারীরা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব না দিলে তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে, এমনকি পদোন্নতিও আটকে যেতে পারে। যদিও সরকারের এ নির্দেশ আজকের নয়। এই নির্দেশ ২০২৩ এর অগাস্টে জারি হয়েছিল।
সেইসময় বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিতে বলা হয়েছিল। পরে দু’বার সেই সময়সীমা বাড়ানো হয়। প্রথমে ৩০ জুন, পরে ৩১ জুলাই।
কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ২৬ শতাংশ রাজ্য সরকারি কর্মী তাদের সম্পত্তির খতিয়ান উত্তরপ্রদেশ সরকারের হাতে তুলে দেন।
এখনও বাকি আছে ১৩ লাখ কর্মচারীর সম্পত্তির খতিয়ান।
ফলে রাজ্য সরকার এবার এই ১৩ লাখ কর্মচারীকে সম্পত্তির খতিয়ান দেওয়ার জন্য মাত্র ৮ দিন সময় দিয়েছে। সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত।
সূত্রের খবর, চলতি মাসের এই সময়ের মধ্যে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ‘মানবসম্পদ’ পোর্টালে সম্পত্তির যাবতীয় খতিয়ান দিতে হবে উত্তরপ্রদেশের সরকারি কর্মচারীদের। অন্যথায় তাদের চলতি মাসের বেতন বন্ধ করা এমনকী পদোন্নতিও আটকে দেওয়া হতে পারে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব মনোজকুমার সিংহ এ কথা জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বলছে, রাজ্য প্রশাসনে স্বচ্ছতার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে রাজ্য সরকারের এ সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মচারীদের অসন্তুষ্ট করেছে। বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে উপনির্বাচনে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে বলে বিজেপির কিছু নেতা আশঙ্কা করছেন।
অপরদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও থেমে নেই। বিরোধী দলগুলো বলছে, সরকার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে এতই উদ্যোগী হয়ে থাকলে বার বার সম্পত্তির খতিয়ান দেওয়ার সময় বাড়াচ্ছে কেন? ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কেন, সে প্রশ্নও তুলছে তারা।