এবার দীঘায় ধরপাকড়ে নামলেন স্বয়ং ডিএম। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির নেতৃত্বে দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে অভিযান চালানো হয়। ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ ও করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ভিড় জমানোয় দীঘা ও মন্দারমণি থেকে প্রচুর পর্যটককে প্রশাসন ফিরিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য হোটেলের অর্ধেকের বেশি ঘরে পর্যটক রাখায় এবং প্রশাসনের নির্দেশিকা সম্বলিত পোস্টার না সাঁটানোয় তিনটি হোটেল সিল করা হয়েছে। দীঘায় একটি এবং মন্দারমণিতে দু’টি হোটেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে প্রশাসন।
দীঘা বাইপাসে রামনগর-১ বিডিও বিষ্ণুপদ রায় এবং দীঘা মোহনা কোস্টাল থানার ওসি সত্যজিত চানকের নেতৃত্বে বিশেষ টিম নাকা চেকিং শুরু করে। ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ কিংবা করোনা পরীক্ষা ছাড়াই দীঘায় ঢোকার মুখে বহু পর্যটকের গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত একশোর বেশি পর্যটককে ফেরানো হয়। দীঘা, মন্দারমণি ও তাজপুরে ম্যারাথন অভিযান চলে। তাতে জেলাশাসক ছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) শ্বেতা আগরওয়াল, অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) মানব সিংলা এবং কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্যবিক্রম হিরানি ছিলেন।
গত ১২ জুলাই কাঁথির মহকুমা প্রশাসন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে বলা হয়, দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণির হোটেলে ওঠার জন্য পর্যটকের ভ্যাকসিনের ডবল ডোজের সার্টিফিকেট কিংবা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে থাকতে হবে। পরদিন দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে ১১৫জন পর্যটক করোনা পরীক্ষা করান। যদিও প্রশাসন জানিয়ে দেয়, পর্যটকদের টেস্ট করিয়েই দীঘায় আসতে হবে। ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার শংসাপত্র কিংবা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া কাউকে দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণিতে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, হোটেল–লজে ৫০ শতাংশ ঘরে পর্যটক রাখা যাবে। বাকি অর্ধেক জায়গা খালি রাখতে হবে। কিন্তু, ভিড়ের সুযোগ নিয়ে অনেক হোটেল ৫০শতাংশ রুম খালি রাখার সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করছে। এই অভিযোগে এদিন তিনটি হোটেলের বিরুদ্ধে কেস করেছে প্রশাসন। জেলাশাসক বলেন, বিজ্ঞপ্তি অমান্য করেই অনেকে দীঘা, মন্দারমণিতে চলে আসছেন।